গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর বাজারে আবারও দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৫ টাকা। ২৮ টাকার পেঁয়াজ বাজারে ২২ থেকে ২৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) হিলি পেঁয়াজের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগে বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ২৮ টাকা। শনিবার পেঁয়াজের দাম কমে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৩ টাকা কেজি দরে।
এদিকে হিলি বন্দরে ভালো মানের ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৬ টাকা কেজিতে। আর খারাপ মানের ভারতীর পেঁয়াজ বাজারে পাইকারি হচ্ছে ২২ টাকা কেজি দরে। বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ ও ভারতীয় পেঁয়াজ এর চাহিদা না থাকায় বন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ এর আমদানি কমেছে বলে মনে করছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আলমাস রক্তিম বলেন, বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ ২৮ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে তা আজ ২৩ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ এর চাহিদা না থাকায় বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ তেমন নেই।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল আহম্মেদ বলেন, হিলি বাজারে আগে যেখানে সব দোকানেই ভারতীয় পেঁয়াজে ভরপুর থাকতো। এখন সেখানে দেশি পেঁয়াজের চাপে ভারতীয় পেঁয়াজ উধাও হয়ে গেছে। এর ওপর চাহিদা কমায় ভারতীয় পেঁয়াজ অনেকে রাখছেন না। এর মূল কারণ হলো বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে। দেশি পেঁয়াজের মান ভালো ও দাম একই রকম। যার কারণে মানুষজন এখন আর ভারতীয় পেঁয়াজ কিনছেন না। সবাই দেশি পেঁয়াজ কিনছেন।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত দেশীয় পেঁয়াজ এর সরবরাহ রয়েছে। সেই সাথে দাম আগের তুলনায় অনেকটা কমে এসেছে। এখন বাজারে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেড়েছে।এরপরও দেশের বাজারে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। তার কারণ হলো বাজারে দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আমদানির পরিমাণ একেবারেই কমে এসেছে। আগে যেখানে বন্দর দিয়ে ১৫ থেকে ২০ ট্রাক করে পেঁয়াজ আমদানি হতো এখন তা কমে ২ ট্রাকে নেমেছে। সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে ২ ট্রাকে ৫৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।