রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী ৩ মে মহাসমাবেশ করবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের চলমান পরিস্থিতি, মুসলিম বিশ্বের নানা সংকট ও ধর্মীয় অধিকার রক্ষার দাবিতে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (২০ এপ্রিল) কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিবি) মিলনায়তনে হেফাজতের কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যে নির্যাতন চলছে, তার বিরুদ্ধে এবং দেশের ভেতরে ইসলামবিরোধী অপচেষ্টার প্রতিবাদে এই মহাসমাবেশ হবে। এছাড়া ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মুসলমানদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় হেফাজত সব সময় সোচ্চার থাকবে বলে জানান তিনি।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ভারতীয় ওয়াকফ আইন এবং ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহব্যাপী দেশজুড়ে গণসংযোগ কর্মসূচি চালানো হবে। সেই সঙ্গে আগামী ২৫ এপ্রিল বাদ জুমা প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ্ মুহিদুল্লাহ বাবুনগরী। তিনি সকল মুসলমানদের এই মহাসমাবেশে উপস্থিত থেকে ইসলাম ও দেশের স্বার্থ রক্ষায় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন, অতীতে ফ্যাসিবাদী আমলে হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি। ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে যেসব নিরীহ ধর্মপ্রাণ মানুষ নিহত হয়েছেন, সেই গণহত্যার বিচার না হওয়ায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
তিনি আরও বলেন, নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত ধর্মবিরোধী ধারাগুলো, ইসলামি উত্তরাধিকার আইনের ওপর হস্তক্ষেপ ও পারিবারিক আইন সংশোধনের প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় ৩ মে মহাসমাবেশের পর আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
হেফাজতের নেতারা জানান, জনগণের ঈমান-আকিদা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার স্বার্থে তারা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং সরকার যদি অনৈতিক নীতিতে অটল থাকে, তাহলে আগামী দিনগুলোতে আরও বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।