সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে ২০ অক্টোবর চূড়ান্ত হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৮ই অক্টোবর ২০২৪ ০৬:৫৯ অপরাহ্ন
সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে ২০ অক্টোবর চূড়ান্ত হবে

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে একটি কর্মপরিকল্পনা ২০ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ‘সুন্দরবন বাঘ জরিপ-২০২৪’ এর ফলাফল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য প্রকাশ করেন।


সেন্টমার্টিন দ্বীপের হোটেল ও জাহাজ মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে নেওয়া সুপারিশ অনুযায়ী, দ্বীপে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হবে। সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, “এটি নিশ্চিত করতে হবে যে সেখানে চানাচুর, চিপস, আচারের প্যাকেটসহ কোনো একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ঢুকতে দেওয়া হবে না।”


তিনি জানান, সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের রাতযাপন নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্তের পাশাপাশি, দ্বীপে প্রবেশ করা পর্যটকদের সংখ্যা নির্ধারণে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। “স্থানীয় ব্যবসায়ীরা একমত হয়েছেন যে পর্যটকদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তবে নির্দিষ্ট সংখ্যার বিষয়ে তারা তাদের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে জানাবেন,” যোগ করেন তিনি।


রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, “পর্যটন বিভাগের বক্তব্যও গুরুত্বপূর্ণ। যারা জাহাজ চালায় তাদের মতামত গ্রহণ করা হবে। ১৫ অক্টোবরের মধ্যে হোটেল ও জাহাজ মালিকদের মতামত পাওয়া যাবে, যা ২০ অক্টোবরের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে সহায়তা করবে।”


এছাড়া, দ্বীপে বেড়ে ওঠা কুকুরের সংখ্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞ সংস্থাগুলোর কাজ শুরু করতে বলার মাধ্যমে স্থানীয় হোটেল মালিকদের সহযোগিতা আশা করছেন তিনি। “যদি বিশেষজ্ঞরা কুকুর বন্ধ্যাকরণের কাজ শুরু করেন, তবে হোটেল মালিকরা সহায়তা করবেন,” বলেন রিজওয়ানা।


এই উদ্যোগগুলো সেন্টমার্টিনের পরিবেশ সুরক্ষা ও পর্যটন ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। পর্যটন ও পরিবেশের সুরক্ষায় সরকারের এই পদক্ষেপগুলি দেশের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রে একটি রোল মডেল হিসেবে কাজ করতে পারে।