ভূমি অফিসে অনিয়ম চলবে না: সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর কড়া বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক
এস.এম. সাইফুল ইসলাম
প্রকাশিত: সোমবার ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৩০ অপরাহ্ন
ভূমি অফিসে অনিয়ম চলবে না: সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর কড়া বার্তা

ঢাকা, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪: ভূমি অফিসে ঘুস দেওয়ার মাত্রা কমে যাওয়ার পর সেখানে কর্মীদের কাজে অনীহা দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই অভিযোগ করেন।


হাসনাত আব্দুল্লাহ তার পোস্টে বলেন, “ভূমি অফিসে ঘুস দেওয়ার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ার ফলে সেখানে কর্মীরা কাজে অনীহা দেখাচ্ছেন। তারা তাদের কাজ স্লো করে দিচ্ছেন যা এই সেক্টরের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে। এটি তাদের পেশাগত দায়বদ্ধতার অভাবকেই প্রকাশ করে। একটি সুষ্ঠু ও কার্যকর সেবা প্রদানের জন্য এটি একটি গুরুতর সমস্যা।”


তিনি আরও উল্লেখ করেন, “যারা ঘুসের অভ্যাসের অভাবে এখন কাজের প্রতি মনোযোগ হারিয়ে ফেলেছেন, তাদের পেশাগত দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। সরকারকে তাদের পেশাগত দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। যদি তারা তাদের কাজের প্রতি যথাযথ মনোযোগ না দেন, তাহলে সরকারকে তাদের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”


হাসনাত আব্দুল্লাহের এই অভিযোগটি সম্প্রতি দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। তাঁর মতে, দীর্ঘদিন ধরে ঘুসের মাধ্যমে কাজ সহজতর হওয়ার প্রবণতা যে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতির একটি অংশ হয়ে উঠেছিল, এখন ঘুসের মাত্রা কমে যাওয়ার পর সেই পরিবর্তনের প্রভাব সেক্টরে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। 


এছাড়া, তিনি ভুয়া লেনদেনের কারণে জনগণের ভোগান্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি সম্পর্কে সরকারের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। তিনি মন্তব্য করেন, “ভূমি অফিসের সেবা পেতে জনগণের যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তা একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। কাজ স্লো হয়ে যাওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ আরও সমস্যায় পড়ছেন।”


বিশ্লেষকরা বলছেন, ভূমি অফিসের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানে ঘুসের অভ্যাস ঘুঁচে যাওয়ার পর যদি কর্মীদের কাজের গতি কমে যায়, তাহলে তা একটি সিস্টেমিক সমস্যা। সরকারের উচিত এই প্রেক্ষাপটে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে অফিসগুলোর কার্যক্রম উন্নত করা।


এই বিষয়টি সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সামনে তুলে ধরার জন্য হাসনাত আব্দুল্লাহ ইতোমধ্যে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে যাতে জনগণ সুষ্ঠু ও দ্রুত সেবা পেতে পারেন এবং কর্মীরা তাদের পেশাগত দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হন।