প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৯:৪০
টেকনাফে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ ও অবৈধভাবে সংরক্ষিত ওষুধ বিক্রির দায়ে পাঁচটি ফার্মেসিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে টেকনাফ পৌরসভার জেলা পরিষদ মার্কেট এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান। অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি এবং সরকারি স্যাম্পল বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায়।
অভিযানে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল ওলিড ফার্মেসি, একে ফার্মেসি অ্যান্ড সার্জিক্যাল মার্ট, মেসার্স মিলি মেডিকেল হল, মেসার্স ফায়সাল মেডিকেল হল এবং কেএন ফার্মেসি। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কাছ থেকে মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা ড্রাগ সুপার কাজী মোঃ ফরহাদ ও অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের সময় দেখা যায়, বেশ কয়েকটি ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া উচ্চমাত্রার এন্টিবায়োটিক বিক্রি করা হচ্ছিল। এতে করে সাধারণ জনগণ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়ছে।
ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান জানান, স্বাস্থ্যবিধি ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হলে এইসব ফার্মেসির বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, জনগণের সুরক্ষা ও নিরাপদ চিকিৎসা সেবার স্বার্থে নিয়মিতভাবে এমন অভিযান চলবে এবং প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিল ও কারাদণ্ডের মতো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় জনগণ অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এসব ফার্মেসির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। অনেক সময় অসচেতন রোগীরা না জেনেই এসব অবৈধ ওষুধ গ্রহণ করে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই অভিযানের ফলে ব্যবসায়ীরা যেমন সতর্ক হবেন, তেমনি সাধারণ মানুষও সচেতন হবেন।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, বাজারে অনেক ফার্মেসি নিয়ম না মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। এসব অনিয়ম রোধে তারা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। এই ধরণের অভিযানে জনগণের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা চাওয়া হয়।
টেকনাফ উপজেলায় এ ধরনের তদারকি কার্যক্রম আগামীতেও চলমান থাকবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে ওষুধ কেনার সময় মেয়াদ ও ব্যবস্থাপত্র যাচাই করে নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।