প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ২২:১৯
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চলমান ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি কোনোভাবেই থামবে না বলে জানিয়েছেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, পূর্বঘোষিত সব কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে পালন করা হবে এবং গোপালগঞ্জে সংঘটিত বর্বর হামলা আমাদের মনোবল ভাঙতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, মাদারীপুর ও শরিয়তপুরে স্থগিত হওয়া সমাবেশ দ্রুত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করা হবে। বুধবার রাতে খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, আন্দোলনের এক বছর পূর্তির এই সময়ে সরকারি দল ও প্রশাসনের একাংশ পরিকল্পিতভাবে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। গোপালগঞ্জে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে, যাতে প্রাণহানি ঘটেছে, আহত হয়েছেন অনেকেই।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা চাই না, কিন্তু আমাদের ওপর হামলা হলে আত্মরক্ষার্থে আমরা পিছু হটবো না। মাদারীপুর এবং শরিয়তপুরে যে সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছিল তা পুনঃনির্ধারিত হবে এবং সেখানকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আরও বৃহৎ আকারে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবো।
এ সময় আখতার হোসেন বলেন, সরকার যদি মনে করে হামলা করে আন্দোলন দমন করা যাবে, তাহলে তারা ভুল করছে। এনসিপি এখন দেশের প্রতিটি প্রান্তে জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। কর্মসূচি চলবে নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী এবং কোথাও কোনো বাধা এলেও আমরা বিকল্প পথ খুঁজে নেবো।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটি জেলায় পদযাত্রার প্রস্তুতি চলছে। গোপালগঞ্জের ঘটনার প্রতিবাদে জেলায় জেলায় জনগণ সোচ্চার হয়েছে। আমাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
তিনি আরও বলেন, যারা গোপালগঞ্জে হামলার নির্দেশ দিয়েছে এবং অংশ নিয়েছে, তাদের শাস্তির দাবিতে আমরা আইনি ও রাজনৈতিক উভয় পথেই লড়বো। গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
এনসিপির নেতারা বলেন, আগস্টের শুরু পর্যন্ত ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির বিভিন্ন ধাপে ৩০টি জেলা কাভার করার পরিকল্পনা রয়েছে। দেশবাসীকে নিয়ে এই পদযাত্রা গণজোয়ারে পরিণত হবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তারা।