প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, ১১:৪৪
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দুই বাংলাদেশি কিশোরকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। শুক্রবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে বিজিবি ও বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পরে এমএম আল আমিন (৩৮) ও মোঃ সুমন (২০) বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। এই তথ্য হিলি সিপি বিওপি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার অসীম মারক রাতে প্রেস রিলিজে নিশ্চিত করেন।
আটক হওয়া দুই কিশোর এমএম আল আমিন সাভারের একজন স্থানীয় নাগরিক এবং মোঃ সুমন দিনাজপুরের পাহাড়পুর এলাকার বাসিন্দা। বিজিবি সূত্র জানায়, গত ২৬ জুন সন্ধ্যা ৫টা ১৭ মিনিটের সময় হিলি সিপি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ ভারতীয় অংশ থেকে তাদের আটক করে বিএসএফ।
বিএসএফ পরে আটক ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে নিশ্চিত করে তাদের বাংলাদেশি নাগরিক হওয়া। এরপর সীমান্তে অবৈধ প্রবেশের অভিযোগে তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে জয়পুরহাট ব্যাটালিয়ান (২০ বিজিবি) বিশেষ তৎপরতা অবলম্বন করছে বলে বিজিবি জানায়।
এই ধরনের পতাকা বৈঠক দুই দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। সীমান্তে অচেনা বা অবৈধ ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণ ও ফেরত পাঠানো এ বৈঠকের অন্যতম বিষয়। দুই পক্ষের কমান্ডাররা নিয়মিতভাবে বৈঠক করে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছেন।
অবৈধ সীমান্ত পেরোনোর ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। এতে সীমান্তবর্তী এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য মিলছে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়ক হচ্ছে।
বিজিবি ও বিএসএফ দুই বাহিনীর পারস্পরিক তথ্য বিনিময় এবং সঠিক সময়ে পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সীমান্তের অবৈধ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে উন্নতি হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের সহযোগিতাও নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখছে।
জয়পুরহাট ব্যাটালিয়ান বিএসএফের পাশাপাশি সীমান্তে আরও তৎপরতা বাড়ানোর মাধ্যমে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও পাচার প্রতিরোধের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। উভয় দেশের সীমান্তরক্ষীরা নিয়মিত টহল ও কড়া নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।
এই ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ভবিষ্যতে এই সহযোগিতা আরও গড়ে উঠলে দুই দেশের জনগণের কল্যাণে উন্নত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।