প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, ১১:৩৩
কুমিল্লার দেবীদ্বারে মুসলিম ভূখণ্ডে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিল সদর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিউমার্কেট স্বাধীনতা স্তম্ভে এসে শেষ হয়। সেখানে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়।
বিক্ষোভ কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন মাওলানা মজিবুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কুমিল্লা উত্তর পূর্ব জেলা শাখার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা জামশেদ হোসেন হাবিবি। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা-৪ দেবীদ্বার আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মোফাজ্জল হোসাইন।
বক্তারা মুসলিম ভূখণ্ডে চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনের কড়া নিন্দা জানান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এ অবস্থা দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানান। তারা বলেন, প্রতিটি মুসলিমকে একত্রিত হয়ে ইসলামের পবিত্র ভূমি রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলের নিষ্ঠুরতা ও অবিচার যেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
বিক্ষোভ মিছিলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দেবীদ্বার উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মুফতি সানাউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ রসুলপুরী, প্রচার সম্পাদক হাফেজ আব্দুল কাইয়ুম, সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মাওলানা আক্তারুজ্জামানসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা এককভাবে নয়, সকল মুসলিমের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের মাধ্যমে পরিস্থিতি পরিবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
উক্ত বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে তুলে নিয়ে নৃশংস ইসরাইলি আগ্রাসনের চিত্র তুলে ধরেন। তারা ইসরাইলের বর্বরোচিত কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানান এবং ফিলিস্তিনি ভাইদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন।
স্থানীয় সাধারণ মানুষও বিক্ষোভে অংশ নিয়ে প্রতিবাদের সুর জোরদার করেন। তারা মুসলিম উম্মাহর একতা ও ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সমগ্র মুসলিম বিশ্বের ঐক্য অপরিহার্য।”
বক্তারা আরও বলেন, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ বাড়িয়ে ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসন রোধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উচিত দ্রুত মানবিক সাহায্য পাঠানো এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা রাখা। খেলাফত মজলিসের এই কর্মসূচি অন্য Muslim অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
এভাবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মুসলিম ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার মধ্য দিয়ে খেলাফত মজলিস ভবিষ্যতেও ধর্মীয় স্বার্থ ও মানবাধিকার রক্ষায় কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।