প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ২১:২০
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
রাজবাড়ীতে কৃষি বিপণন অধিপ্তরের এক অফিস সহায়কের বিরুদ্ধে কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়, পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণের জন্য নির্ধারিত মডেল ঘরের আবেদনের সময় কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আদায় করা হয়েছে, যা একটি ভিডিওতে দৃশ্যমান হওয়ায় তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, একজন কৃষক আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় অফিস সহায়ক এনামুল হক রেজিস্টার খাতায় নাম লিপিবদ্ধ করার পর কৃষকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা টেবিলে রাখেন এবং আরেক কৃষকের টাকা পকেটে রাখেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, আবেদন না নেওয়ার হুমকির কারণে অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে আবেদনপত্র জমা দেন।
এদিকে, এনামুল হক দাবি করেছেন, ভিডিওটি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং ভিডিওতে দেখা যাওয়া ব্যক্তি মূলত লাইসেন্স ফি জমা দিয়েছিলেন, যা নিয়ম অনুযায়ী আদায় করা হয়েছে। তিনি জানান, জনবল সংকটের কারণে তিনি নিজে আবেদন গ্রহণ করছিলেন এবং কেউ লাইসেন্স ফি দিলেও তা অফিসিয়াল প্রক্রিয়ার অংশ ছিল।
এই প্রকল্পে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় ২০টি এবং বালিয়াকান্দি উপজেলায় ৩০টি পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যার আবেদন জমাদানের শেষ তারিখ ছিল ১৯ জুন। কৃষি বিপণন অধিপ্তরের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নির্ধারিত কাগজপত্রসহ আবেদন করার কথা ছিল এবং ২৫০ জনের বেশি কৃষক এই সুযোগের জন্য আবেদন করেন। কৃষকরা জানান, আবেদন জমা দেওয়ার সময় অতিরিক্ত অর্থ চাওয়া নিয়ে কেউ কেউ প্রতিবাদ করলেও আবেদন গ্রহণে বিলম্ব এবং বাধা দেওয়া হয়।
রাজবাড়ীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, ভিডিওটি তিনি দেখেছেন এবং বিষয়টি বিভাগীয় উপ-পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তদন্ত করে সত্যতা মিললে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। ভিডিওটি নিয়ে সামাজিকভাবে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে এবং কৃষকেরা সুষ্ঠু তদন্ত ও জবাবদিহিতা দাবি করছেন। এ নিয়ে জেলার প্রশাসনিক মহলেও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।