প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১৭:৫১
মৌলভীবাজারে শেরপুর ফাঁড়ির পুলিশের অভিযানে সাড়ে ৩৬ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই প্রসাধনী ও জিনিসপত্রসহ তিন চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রোববার সকালে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর গোলচত্বর এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যান থেকে এই বিপুল পরিমাণ চোরাই মালামাল জব্দ করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন শেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শিপু কুমার দাস।
আটককৃতরা হলেন রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মো. ইয়াকুব মিয়া, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হেমু হাউতপাড়া গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলম ও একই উপজেলার হেমু ভেনপাড়া গ্রামের মো. সালেহ আহমদ। তাদের ব্যবহৃত কাভার্ড ভ্যানটি আটক করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ভ্যানে থাকা প্লাস্টিক বস্তার ভেতর থেকে ১ লাখ ৯২ হাজার পিস Gillette ব্লেড, ৬০টি লেজার এবং তিন ধরণের ৮ হাজার ৯৬৪ পিস ভারতীয় স্কিন ক্রিম উদ্ধার করে, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। পণ্যের ধরণ ও পরিমাণ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো সুপরিকল্পিত চোরাচালানের অংশ ছিল।
মৌলভীবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, আটক ব্যক্তিরা পণ্যগুলোর কোনো ধরনের বৈধ আমদানি সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে, জৈন্তাপুর সীমান্ত এলাকা থেকে পণ্যগুলো সংগ্রহ করে ঢাকার বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল।
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের চোরাচালান সীমান্ত এলাকাকে অপরাধপ্রবণ করে তুলছে এবং বৈধ ব্যবসার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পুলিশ এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছে এবং এসব অপরাধ চক্রকে ধরতে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন এর ২৫-বি (বি)/২৫-ডি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলার পর আটককৃতদের মৌলভীবাজার কোর্টে পাঠানো হয়েছে এবং তদন্তের স্বার্থে তাদের রিমান্ড আবেদন করা হতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত আছে, তা জানার জন্য অনুসন্ধান চলছে এবং শিগগিরই আরও তথ্য উদঘাটনের আশা করা হচ্ছে।