প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ১০:২৪
চলমান তীব্র গরমে শুধু শরীরই ক্লান্ত হয় না, এর প্রভাব সরাসরি পড়ে আমাদের ত্বকের উপরেও। অতিরিক্ত রোদ, ঘাম ও ধুলাবালির কারণে ত্বক হারায় তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ও সতেজতা। তাই গরমের এই সময়টাতে ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে অন্তত দুইবার মুখ পরিষ্কার করা উচিত এবং সম্ভব হলে হালকা কোনো ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত যা ত্বককে শুষ্ক না করে বরং ময়েশ্চারাইজড রাখে।
বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা গরমকালে অপরিহার্য। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি শুধু ত্বককে পুড়িয়ে দেয় না, বরং ত্বকে দাগ ও বয়সের ছাপও ফেলে। তাই এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি মাত্রার সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরামর্শ দেন ডার্মাটোলজিস্টরা। প্রতিবার ঘাম ঝরার পর বা পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর নতুন করে সানস্ক্রিন ব্যবহার করাও জরুরি।
এই সময়ে প্রচুর পানি পান করা সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখলে ত্বকও ভেতর থেকে সতেজ থাকে। প্রতিদিন অন্তত ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। সেই সঙ্গে শসা, তরমুজ, লেবুর পানি কিংবা নারকেলের পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং ত্বকেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
রাতে ঘুমানোর আগে মেকআপ তুলে ত্বক পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি। এরপর হালকা কোনো নাইট ক্রিম বা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে ত্বক আরাম পায় এবং সতেজতা ফিরে পায়। কিছু মানুষ প্রাকৃতিক উপাদান যেমন মধু, দই বা টমেটোর রস দিয়ে ঘরে বসেই ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন, যা গরমে ত্বক ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকের জন্য প্রতিদিন মাটি বা মুলতানি মাটির প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এবং ব্রণের প্রবণতা কমায়। তবে শুষ্ক ত্বকে এগুলো না ব্যবহার করাই ভালো।
ধুলোবালি থেকে ত্বক বাঁচাতে বাইরে বের হলে সানগ্লাস ও স্কার্ফ ব্যবহার করার অভ্যাস করা উচিত। ত্বকে অতিরিক্ত ঘাম জমলে তা দিয়ে জীবাণু জন্ম নেয়, ফলে ব্রণ ও র্যাশ হতে পারে। তাই ঘাম ঝরানোর পরপরই মুখ পরিষ্কার করার অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার।
অবশেষে বলা যায়, গরমে ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে হলে চাই দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসে পরিবর্তন। নিয়মিত যত্ন ও কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত। তাই গরমের দিনে একটু বাড়তি যত্নেই মিলতে পারে সতেজ ও ঝকঝকে ত্বক।