প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৬:৪৭
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশে গণআন্দোলনের জোয়ার দেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী দোসররা এখন অরাজকতার চরম ছক আঁকছে এবং দেশজুড়ে দুষ্কৃতকারীদের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিবেশ অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করছে।
বুধবার বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেনের পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পরও নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা লুটতে দুষ্কৃতকারীরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, গোপালগঞ্জে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির ওপর বর্বরোচিত হামলা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা সেই অপতৎপরতারই বহিঃপ্রকাশ।
বিএনপি মহাসচিবের দাবি, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে রাজনৈতিক সংকট জিইয়ে রাখতেই এসব অরাজকতা চলছে। তিনি বলেন, দেশে মরণকামড় দিতে উঠে পড়ে লেগেছে আওয়ামী ঘরানার সন্ত্রাসীরা। তাদের কঠোর হস্তে দমন করা না গেলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আবার হুমকির মুখে পড়বে।
এনসিপির কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলা এবং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আজ গোপালগঞ্জে যেভাবে গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের ওপর হামলা হয়েছে তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। এতে শুধু এনসিপি নয়, বরং সারাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশের ওপর আঘাত এসেছে।
দেশবাসীকে সতর্ক করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঠেকাতে রাজনৈতিক সচেতনতা এবং ঐক্য এখন সময়ের দাবি।
তিনি হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্যই পারে দেশকে নিরাপদ রাখতে। সেইসঙ্গে আহত পুলিশ সদস্যদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
বুধবার দুপুরে এনসিপির নেতাকর্মীদের বহরে লঞ্চঘাট এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে ককটেল বিস্ফোরণ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। সেনা ও পুলিশ সদস্যদের গাড়িও হামলার শিকার হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়ে। বিকেল ৪টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।