প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৫:৪৭
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গোপালগঞ্জ থেকে মাদারীপুরগামী গাড়িবহরে ফের হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুরে এ হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলার সময় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে এনসিপির নেতাকর্মীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন।
ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর এনসিপির নেতাকর্মীদের গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিরাপত্তার জন্য তাদের রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। পুলিশ বাহিনীর প্রাথমিক পদক্ষেপে আরেকটি বড় রকমের সংঘর্ষ এড়ানো গেলেও বহরের অপর অংশ এখনও হামলার শঙ্কায় রয়েছে।
এনসিপির নেতাদের অভিযোগ, গাড়িবহরের একটি অংশে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে, যাতে কর্মসূচির ধারাবাহিকতা নষ্ট হয় এবং আন্দোলন বাধাগ্রস্ত হয়। দলটি জানায়, তাদের বাকি গাড়িবহর মাদারীপুরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং পথে আবারও হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
একই সময়ে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এবং শহরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ হিমশিম খাচ্ছে।
এর আগে শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এনসিপির সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণ, ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সমাবেশ পণ্ড করার অভিযোগ তুলেছে এনসিপি। ওই ঘটনার পর শহরের বিভিন্ন স্থানে সেনা মোতায়েন করা হয় এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান জানান, পরিস্থিতি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
জুলাই মাসজুড়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি যে ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে, তার অংশ হিসেবেই তারা গোপালগঞ্জ থেকে মাদারীপুর যাচ্ছিল। হামলার পরেও দলটি জানিয়েছে, তারা তাদের কর্মসূচি থেকে সরে আসবে না বরং আরও শক্ত অবস্থান নিয়ে রাজপথে থাকবে।