প্রকাশ: ৫ আগস্ট ২০২১, ১:২৬
"সাফল্য ঘটে না,সাফল্য ঘটাতে হয়" কাজ শুরু করাই হলো, সাফল্যের মুল চাবিকাঠি" মাদারীপুর জেলার নবগঠিত ডাসার উপজেলার প্রাক-ইতিহাস এবং বর্তমান চিত্র তুলে ধরলেন সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন।
৭৬.৪১ বর্গকিলোমিটার আয়তনে গঠিত ডাসার উপজেলা। যার মধ্যে রয়েছে নবগ্রাম,গোপালপুর,বালিগ্রাম,ডাসারও কাজীবাকাই ইউনিয়ন। মোট জনসংখ্যা ৭১,৪৯৪ জন।উপজেলার কেন্দ্রস্থল ২৯নং পূর্ব নবগ্রাম ও ৩০ নং কাজী বাকাই মৌজা,এটাই উপজেলার হেড কোয়ার্টার।
বর্তমান ডাসার উপজেলার নামকরনের পেছনে রয়েছে দুটি জনশ্রুতি। ডাসার সৈয়দ বংশের প্রতিষ্ঠাতা হযরত সৈয়দ শাহ আলী বোগদাদি (র.)'র পুত্র হযরত সৈয়দ শাহ ওসমান(র.) ৫১৯ বছর পূর্বে বাঘের পিঠে চড়ে ডাসারে আগমন করেন এবং ইসলাম প্রচার করে এলাকার ঘরে ঘরে ইসলামী আলো প্রর্জ্জলন করেন।
তিনি ছিলেন খুবই ধার্মিক ও কামেল ব্যক্তিত্ব। যে কোন দায় বা বিপদাপদ থেকে মুক্তি লাভের জন্য তার কাছে ছুঁটে যেতেন। ক্রমান্বয়ে এলাকাটির নাম হয়ে ওঠে "দায়সার"। যার অপভ্রংশ ডাসার।অন্য মত হচ্ছে, এই অঞ্চলে এক ধরনের বাঁশ পাওয়া যেতো যার নাম ছিল 'ডাসা বাঁশ'। এই ডাসা বাঁশ থেকে এলাকাটির নাম হয় ডাসার।
তবে গবেষকগণ মনে করেন,প্রথম মতটিই অধিকতর গ্রহনযোগ্য।
পূর্বে ডাসার ছিল চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের একটি জনপদ। এ অঞ্চলের আধিবাসীগন 'গঙ্গারিডি' জাতি নামে পরিচিত ছিল।পার্শ^বর্তী কোটালীপাড়া ছিল 'গঙ্গারিডি রাজ্যের রাজধানী। ইসলাম ধর্মের আর্বিভাবের পূর্বে এ অঞ্চলটি ছিল হিন্দু অধ্যুষিত।
ঐতিহাসিকদের ধারণা এ অঞ্চলের স্থানীয় অধিবাসীর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন সময়ে কিছু লোকের অভিবাসন ঘটে। আদি ডাসারের অধিকাংশ মানুষ বিনয়ী,সরল,শান্তিপ্রিয়,সহিষ্ণুও অতিথিপরায়ন। চাল-চলন,কথাবার্তাও সৌজন্যবোধে তারা মার্জিত এবং সকলের নিকট গ্রহণীয়।
বর্তমান ডাসারে বিখ্যাত পরিবারের মধ্যে সৈয়দ পরিবার,কাজি পরিবার ও খন্দকার পরিবার উল্লেখযোগ্য। এক সময় এখানে ৩৬০ ঘর সৈয়দ পরিবারের বসবাস ছিল।
এলাকাটি মুলত পদ্মা-মেঘনার মোহনা,কীর্তিনাশা ও আড়িয়ালখাঁ বিধৌত বলে পরিচিত। এ অঞ্চলের মাটি পলিমিশ্রিত এবং প্রাকৃতিকভাবে উর্বর। অতি সহজে প্রচুর পরিমান ধান,পাট,ও অন্যান্য ফসলাদি উৎপন্ন হয়।
সুলতানুল আউলিয়া হযরত সৈয়দ শাহ আলী বোগদাদি(র.) এর পুত্র হযরত সৈয়দ শাহ ওসমান (র.)স্মতিধন্য পবিত্রভুমি ডাসার একটি প্রাচীন ঐতিহ্যময় গ্রাম।
ডাসার এক সময়ের প্রত্যন্ত গ্রাম। অবহেলিত গ্রাম ছিল। যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল বিছিন্ন। এলাকার কৃতিসন্তান সাবেক চার-বারের মাননীয় সংসদ,সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেনের উদ্যোগে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠলো।বিদ্যুৎ এলো। স্কুল -কলেজ হলো। স্কুল কলেজের দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামো নির্মিত হলো। ডাসারে দর্শনীয় মসজিদ নির্মিত হলো। জলাশয়ে সুদৃশ্য ঘোড়াবেষ্টিত পানির ফোয়ারা নির্মিত হলো। পর্যটন কেন্দ্রে রুপান্তরিত হলো। আজ প্রত্যান্ত, অবহেলিত গ্রামটি উপজেলায় উন্নীত হলো।
বর্তমানে ডাসার উপজেলা শহরে রয়েছে সৈয়দ আবুল হোসেন প্রতিষ্ঠিত সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমী অ্যান্ড উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এবং ডি.কে. আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমী এন্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটি 'বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ অলংকার'।
মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ধারন করে ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের শশীকরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে' শহিদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়। এ ছাড়াও ডাসার উপজেলায় রয়েছে স্বনামধন্য স্কুল, মাদ্রাসা সহ অনেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। ডাসার ইতিমধ্যে 'শিক্ষানগরী' হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
ডাসার উপজেলায় রয়েছে,ইতিহাস বহনকারী বিশিষ্টজন। হযরত সৈয়দ শাহ ওসমান(র.) ইসলাম প্রচারের গোড়াপত্তন করেন। এ ডাসারের মাটিতেই তিনি সমাহিত হন।
ডাসার,কালকিনি,মাদারীপুর উন্নয়নের রুপকার সৈয়দ আবুল হোসেন তাঁরই উত্তরসূরী,তাঁরই বংশধর। এ মাটিতে সমাহিত আছেন সৈয়দ আবুল হোসেন এর পুণ্যবান পিতা আলহাজ্ব সৈয়দ আতাহার আলী ও পুণ্যবতী মাতা আলহাজ্ব সৈয়দা সুফিয়া আলী।
ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক 'রত্নগর্ভা' উপাধিপ্রাপ্ত খন্দকার সাজেদা খাতুন,ডাসারের খন্দকার সুলতান হোসেনের কন্যা। নিখিল ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী বিশিষ্ট রাজনীতিকও লেখক হুমায়ুন কবির,পাকিস্তানের কনসাল শাহজাহান কবির,যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির,পাকিস্তানের আইজিপি আলমগীর কবির এবং বিচারপতি সায়েমের উপদেষ্টা ও পল্লী প্রগতী সহায়ক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা আকবর কবির এসকল বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সবাই রতœাগর্ভা ডাসারের খন্দকার সাজেদা খাতুনের সন্তান।
সাজেদা খাতুনের নাতী,জাহাঙ্গীর কবিরের ছেলে আলতামাস কবির ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন।তাঁর অপর নাতী হুমায়ূন কবিরের পুত্র বিশ্ববিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী কামাল কবির বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ছাত্র এবং নাতনী জয়তী কবির ভারতের রেল ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জর্জ ফার্নান্দেজের স্ত্রী। খন্দকার নূরুল হোসেনও এ ডাসারের অধিবাসী। এরা ডাসারের গর্ব,বাংলাদেশের গর্ব।
ডাসারের গোপালপুর ইউনিয়নে কাজি পরিবারে রয়েছে,ভারতবর্ষের বিখ্যাত চিকিৎসক এবং মাদারীপুর জেলার প্রথম চিকিৎসক ডা.কাজী আবদুস সাত্তার।তিনি মহাত্মা গান্ধীর ঘনিষ্টজন ছিলেন। তার তিন সন্তান হিন্দি ভাষার বিখ্যাত বাঙালি কবি ও সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা কাজী আশরাফ মাহমুদ,ভারতবর্ষের মুসলমানদের মধ্যে প্রথম মহিলা চিকিৎসক ডা.জহুরা কাজী ও দ্বিতীয় মহিলা চিকিৎসক ইংরেজি ভাষার কবি ডা.শিরিন কাজী।
বাংলাদেশ বিমানের সাবেক ক্যাপ্টেন ও বিশিষ্ট লেখক আলমগীর ছাত্তার,বীরপ্রতীক গোপালপুর কাজীবাড়ির সন্তান।
তৎকালিন পাকিস্তানের পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল(আইজিপি) কে এন হোসেন পরবর্তিতে তিনি সুইজারল্যান্ডে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তার স্ত্রীও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী খন্দকার মোকাররম হোসেন ও তার সুযোগ্য সন্তান বিখ্যাত প্লাস্টিক সার্জন সাফকাত খন্দকার এর ডাসারে জন্ম।
বাংলাদেশের বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক, অন্যতম সেরা কর্নিয়া সার্জন ডা.সৈয়দ আবুল হাসানও ডাসারের সন্তান।
পাক ভারত উপমহাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শিক্ষাবিদ তরনীকান্ত সরকার,অতুল কৃষ্ণ বাড়ৈ,যতীন্দ্র নাথ হালদার,নিরঞ্জন চক্রবর্ত্তী,সুকুমার চক্রবর্তী,অশ্বিনী কুমার হালদার,কানাই লাল সরকার,প্রভেসর দুলাল ভৌমিক,আশিষ তালুকদার এবং সমাজসেবক কৈলাশ চন্দ্র সরকার,লালমোহন তালুদার,
কার্তিকবালা,সূর্য্য কুমার বিশ্বাস,ঞ্জানেন্দ্র নাথ হালদার,আবদুল মান্নান ঠাকুর,সৈয়দ কবির উদ্দিন আহমেদও গোলাম আলী খান এ ডাসার উপজেলার বাসিন্দা। হেমায়েত বাহিনীর সদস্য শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামের বাড়ি এ ডাসারে।বুয়েটের সাবেক শিক্ষক সৈয়দ আফজাল হোসেন ডাসারের সন্তান। মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল খান গোলাপ,প্রাক্তন এসপি সৈয়দ গোলাম মোস্তফা,সাবেক সচিব আবদুল কাইয়ুম ঠাকুর,
বিশিষ্ট সাংবাদিক আবদুল আওয়াল ঠাকুর,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড.অমলকৃষ্ণ হালদার,ড.মতিলাল সরকার,মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কারের সাবেক সচিব শেখ মুজিবুর রহমান এনডিসি,সাবেক অতিরিক্ত সচিব স্বপন কুমার সরকার,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব সরদার আবুল কালাম,যুগ্ম-সচিব কৃষ্ণ কান্ত বিশ্বাস,এম এ(ত্রিপল),
অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মেট্রোরেল প্রজেক্ট ও প্রাক্তন চীফ এগ্রোনমিষ্ট পঙ্কজ কুমার রায়,বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ডিলিট ডিগ্রিধারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি লাইব্রেরীয়ান ড.কল্পনা হালদার,ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.)সৈয়দ গোলাম ফারুক এবং নির্মান শিল্প ও ব্যবসার সাথে জড়িত সৈয়দ তেলায়েত হোসেন ডাসারের বাসিন্দা।
এ ছাড়াও ডাসারে নতুর প্রজন্মের অন্যতম ব্যক্তিত্ব সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন আমেরিকার স্বনামধন্য স্মিথ কলেজ থেকে ওমেন ¯ট্যাডি বিষয় গ্র্যাজুয়েশন লাভের পর নিউইয়র্ক ফিল্ম একাডেমি এবং হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা এবং ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়া থেকে সাউথ এশিয়ান ¯ট্যাডি বিষয় মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তি সময়ে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝঙঅঝ থেকে দ্বিতীয়বার মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি একজন সুষ্ঠুধারার পরিছন্ন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গবেষক। ভালো ছবি নির্মানের জন্য তিনি অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন।তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেশনাল সংস্থার একজন চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসেবে সুপরিচিত। তাঁরই ছোট বোন সৈয়দা ইফফাত হোসেন আমেরিকার এমোরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউরো সাইন্সে স্নাতক এবং নিউইয়র্কের স্কুল ফর সোসাল রিসার্চ থেকে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিষয় মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।বর্তমানে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণারত এবং সেখানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফাইড ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট।
যুক্তরাজ্যের লন্ডন ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে তাঁর পেশাগত কাজ বিস্তৃত। সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন ও সৈয়দা ইফফাত হোসেন উভয়ই দক্ষিন এশিয়ার উন্নয়নে প্রতিষ্ঠিত-ইড়ধড় ঋড়ৎঁস ভড়ৎ অংরধ(ইঋঅ)'র সদস্য।
বর্তমান ডাসারের চিত্র তুলে ধরলে দেখা যায়,১৯৯১ সালের পূর্বে কালকিনি ও ডাসার এলাকাটি উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল,অবহেলিত ছিল। এ লাকার অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন,যারা ইতিহাসে খ্যাতিমান বলে পরিচিত।
কিন্তু এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে এসকল ব্যক্তিবর্গ কেউ গভীরভাবে ভাবেননি এবং উন্নয়নে তাঁদের অবদান দৃশ্যমান ছিল না। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯১ এর পূর্ব পর্যন্ত মাদারীপুর-৩ নির্বাচনী এলাকায় আ.লীগের কোন প্রার্থী এমপি নির্বাচিত হয়নি।এলাকার সন্তান হিসেবে সৈয়দ আবুল হোসেনই প্রথম এমপি,যিনি এলাকার শিক্ষাপ্রসার,জনগনের ভাগ্যেপরিবর্তন ও উন্নায়নে সচেষ্ট হয়েছেন।
তিনি গড়ে তুলেছেন বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ডাসার,কালকিনি, মাদারীপুরে তিনি ৪ টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সহ ৬ টি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। বহু উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় সহায়তা,উন্নয়নও সংস্কারে অবদান রেখেছেন। ডাসার,কালকিনি, মাদারীপুর সহ দেশের অন্য জেলা মিলিয়ে ১৫০টি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কমিনিউটি ফান্ডের সমুদয় অর্থ তিনি প্রদান করেন।
তিনি এলাকার জনগনকে শিক্ষা,কর্ম ও উন্নয়নে সম্পৃক্ত করে ডাসারকে বাংলাদেশের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছেন। ডাসার,কালকিনিসহ সমগ্র মাদারীপুর জেলাকে উন্নয়নে সম্পৃক্ত করেছেন। জনগন ও এলাকার বিশিষ্ট গুণীব্যক্তিবর্গের ইচ্ছার প্রতিফলন ও এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নে সৈয়দ আবুল হোসেন এর একক প্রচেষ্টায় আজ ডাসার অজপাড়াগাঁ থেকে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র,পরবর্তীতে থানা এবং আজ উপজেলা হিসেবে, দেশের প্রশাসনিক কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
ডাসার উপজেলা সৃষ্টি হওয়ায় এবং এর ফলে ঐতিহ্যবাহী মাদারীপুর জেলা বি-গ্রেডে উন্নতি হল। সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার এ ঘোষনায় আমি জীবনে সবচেয়ে বড় আনন্দ পেয়েছি।আমার এই আনন্দের দিনে, মহাখুশির দিনে,আপনাকে আমি শ্রদ্ধা জানাই, অভিবাদন জানাই। আপনি বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে সমসীন একজন মহীয়সী নেত্রী,বাংলাদেশের আপামর জনগনের প্রাণের নেত্রী, দেশের উন্নয়ন ও জনস্বপ্নপূরনের কান্ডারি,দেশ ও দেশের উন্নয়নের জন্য,মানব সেবার পথপ্রদর্শক হিসেবে আপনার নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই।
ডাসার-কালকিনিবাসী ও মাদারীপুরবাসী আপনার নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ, সুখি বাংলাদেশের জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর। মহান আল্লাহ আপনার সহায় হোন।