প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ১৭:২
সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া চার যুবককে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং মো. ইব্রাহিম হোসেন। রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করলেও রাষ্ট্রপক্ষ সর্বোচ্চ রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে শুনানি করেন। পরে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সিদ্দিক আবু জাফর শনিবার গুলশান থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় রিয়াদ ও অন্য চারজন ছাড়াও একজন কিশোর আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন, যিনি আইনের সংঘাতে জড়িত শিশু হিসেবে চিহ্নিত।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৭ জুলাই সকাল ১০টায় রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করেন। টাকা না দিলে তাকে রাজনৈতিকভাবে দোষারোপ করে গ্রেফতার করানোর হুমকি দেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু বাদীর বাসায় গিয়ে ফ্ল্যাটের দরজায় ধাক্কা দেন এবং হুমকি অব্যাহত রাখেন। আবার ২০ জুলাই বিকেলে আসামিরা ওই বাসায় গিয়ে বাদীকে খুঁজতে থাকেন এবং বাকি ৪০ লাখ টাকা না দিলে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
গুলশান থানা পুলিশকে অবহিত করার পর শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই সময় একজন এজাহারভুক্ত আসামি পালিয়ে যায় বলে জানা যায়।
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় রিমান্ডে যাওয়া চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদে কী তথ্য উঠে আসে, তা এখন সকলের নজরে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তদন্তে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।