প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২১, ২২:৩১
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ছোট বালিয়াতলীর কাংকুনীপাড়া এলাকায় চার একর জমিতে কোনো প্রকার রাসায়নিক ওষুধ ছাড়াই নিজের তৈরিকৃত জৈব সার প্রয়োগ করে চার রঙ্গের ড্রাগন চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কৃষক গোলাম মোস্তফা। ড্রাগন চাষে অভাবনীয় সফল্যতা পেয়েছেন এই কৃষক। তার খামারে উৎপাদিত ড্রাগন বানিজ্যিকভাবে রপ্তানীর আশা করছেন এ কৃষক।
বাড়ির পাশে স্ব-নির্ভর খাল পানি ব্যাবস্থাপনা দলের আয়োজিত কৃষি মেলা দেখে ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন কৃষক গোলাম মোস্তফা। কৃষি মেলায় প্রদর্শিত হয়েছিল কৃষি উপকরণসহ বিভিন্ন ফল ফুল এবং নানা জাতের পন্য। এসব প্রকল্প দেখে তার পড়ে থাকা জমিতে তিনি কৃষি খামার গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। ২০১২ ইং সালে শখের বসে ড্রাগন চাষ শুরু করে। এতে সফলও হন কৃষক গোলাম মোস্তফা।
২০১৮ ইং সালে তিনি বানিজ্যিক ভাবে ড্রাগন খামার গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। চার একর জমিতে শুরু করেন কৃষি খামার। মাছের ঘের, গবাদিপশু এবং গাঁডল খামার, দেশি মুরগী, কলা, লিচু, পেয়ারা, মাল্টা, পেঁপে, এলাচ ও ড্রাগন চাষ করে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। তার এই খামার স্থানীয়দের মাঝে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। এখন তিনি একজন সফল কৃষক হিসেবে এলাকায় পরিচিতি পেয়েছে। মিলেছে অর্থনৈতিক মুক্তি। পরিবার পরিজন নিয়ে তিনি এখন সুখে দিনযাপন করছে। ফলের বাগান করে কৃষক মোস্তফা এখন স্বাবলম্বী।
সরেজমিনে গেলে জানা গেছে, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ মোতাবেক ড্রাগন খামার গড়ে তোলেন মোস্তফা। এতে পরিবারের সদস্যরা উৎসাহ এবং সহযোগিতা করেন। তার পরিচালিত সমৃদ্ধ কৃষি খামারে বিভিন্ন প্রজাতির ড্রাগন ফল চাষ হয়েছে।
ড্রাগন চাষী গোলাম মোস্তফা জানান, তার খামারে ভিয়েতনামের ড্রাগন (বারি-১) এবং স্থানীয় দেশি প্রজাতির ড্রাগনসহ লাল, সাদা, হলুদ এবং গোলাপি এই চার রঙের ড্রাগন উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে লাল রঙ্গের ড্রাগনের উৎপাদন এবং চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক মানুষ খামার দেখতে আসেন। আর এতেই তিনি আনন্দ পেয়ে থাকেন।
বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম হুমায়ুন কবির বলেন, মোস্তফার ড্রাগন খামার ঘুরে দেখে আমি খুব খুশি। ড্রাগন একটি পুষ্টিকর এবং লাভজনক ফল। মোস্ফার ড্রাগন বাগান থেকে অনেকেই অনুপ্রানিত হবে। তিনি বলেন, ড্রাগন চাষ করে মোস্তফা এখন স্বাবলম্বী হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ আর এম সাইফুল্লাহ জানান, কলাপাড়া উপজেলা এসএসিবি প্রকল্পের আওতায় সাতটি ড্রাগন খামার গড়ে উঠেছে। তার মধ্যে গোলাম মোস্তফার খামারটি উল্লেখযোগ্য। নুতন উদ্দোক্তাদের সকল ধরনের কারিগরি সহায়তা প্রদান করে সার বীজ এবং চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পর্কে সহায়তা করা হবে বলে এই কৃষি কর্মকর্তা এমনটাই জানিয়েছেন।