প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২১, ১৩:৫৪
আশাশুনি উপজেলার নদীসংলগ্ন গ্রামাঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে বাড়ে পানি। নদ-নদী ভরে উঠে পানিতে। নদ-নদী ছাপিয়ে পানি বাড়ে ঘের ও বিলগুলোয়। গ্রামাঞলে এখন আর নৌকার ব্যবহার নেই তারপর পরও কিছু কিছু এরাকায় নৌকা ব্যবহার করা হয়।
এ উপজেলায় নদ নদীতে নৌকার ব্যবহার রয়েছে।এখনই নৌকা তৈরি বা সরাই করার সময়। আশাশুনিতে শুরু হয়েছে নৌকা তৈরি ও মেরামতের কাজ। এ উপজেলায় নৌকা কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে।বিশেষ করে নৌকার অর্ডার না দিলে কারিগর রা নৌকা তৈরি করেন না।
এলাকায় যে সমস্ত নৌকা আছে সে গুলো মেরামত ও কিছু অর্ডারি নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মাঝি ও নৌকা তৈরির কারিগর। বিশেষ করে আশেপাশের গ্রামে গৃহস্থালি কাজ, খেয়া পারাপার ও গো-খাদ্যের জন্য ,ঘেরে ব্যবহার,নদীতে মাছ ধরার জন্য নৌকার কদর বেড়েছে।
আশাশুনিতে নদী ভাঙ্গন ও বর্ষা শুরু হওয়ার পর প্লাবিত হয়ে থাকে। বর্ষা মৌসুম এলেই অনেক এলাকায় মানুষের চলাচলের বাহন হিসেবে নৌকা ব্যবহার করা হয়। উপজেলার নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোয় স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীরা নৌকায় চড়ে স্কুলে যাতায়াত করে থাকে।
আশাশুনির কুল্যা,দরগাপুর,রামনগর,আশাশুনি প্রতাপ নগর খাজরা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কেউ কেউ পুরোনো নৌকা মেরামত করছে। কেউবা নতুন নৌকা তৈরি অথবা মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত নৌকায় রঙ ও আলকাতরা দিয়ে ব্যবহারের উপযোগী করছে।
আশাশুনির খরিয়াটি গ্রামের বলাই মন্ডল জানান, ছোটবেলা থেকেই বাবার সঙ্গে নৌকা তৈরির কাজ করছি। নৌকা তৈরিতে বিশেষ কোনো কাঠ নির্দিষ্টভাবে ব্যবহার হয় না। আগে উন্নতমানের কাঠ দিয়ে নৌকা তৈরি করতাম।
এখন কড়াই, চাম্বল ও মেহগনি দিয়েই নৌকা তৈরি করি। নৌকা তৈরিতে কাঠ ছাড়াও মাটিয়া তেল, আলকাতরা, তারকাটা, গজাল, পাতাম প্রভৃতি প্রয়োজন, যা নৌকাকে দীর্ঘদিন টেকসই রাখে। ১২ হাত লম্বা একটি নৌকা তৈরি করতে মুজুরি লাগে প্রায় বিশ হাজার আর সময় লাগে পনের থেকে বিশ দিন।নৌকার মালিক যে কাঠ ব্যবহার করবেন সে হারে কাঠের মূল্য নির্ধারন করা হয়।
#ইনিউজ৭১/জি/হা/২০২১