শীত উপেক্ষা করে নতুন স্বপ্ন নিয়ে ব্যস্ত কৃষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
মির্জা শহিদুজ্জামান দুলাল, জেলা প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল:
প্রকাশিত: শনিবার ২১শে জানুয়ারী ২০২৩ ০৬:৪৩ অপরাহ্ন
শীত উপেক্ষা করে নতুন স্বপ্ন নিয়ে ব্যস্ত কৃষকরা

প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতীর কৃষকরা। ইরি চাষের গুরুত্বপূর্ণ সময় পৌষ-মাঘ। এ দুই মাস জমিতে ধানের চারা রোপণ করার উপযুক্ত সময়। আমন ঘরে তোলার পর নতুন স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা। তাই চারা রোপণে এসময়ের শৈত্য প্রবাহ ও কুয়াশা চাষীদের দমাতে পারে নাই। সারাদেশের মত এই এলাকার কৃষকরাও ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছেন জমিতে।


সরোজমিনে উপজেলার পাইকড়া, পারখি, বল্লা, বাংড়া, সল্লা, সহদেবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই এই কনকনে শীতেরে মধ্যে চারা রোপণে ও জমি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।  এসময়ের শৈত্য প্রবাহ ও কুয়াশা চাষীদের দমাতে পারেনি। কৃষকরাও ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছেন।


আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বীজতলার কোনো ক্ষতি হয়নি। 


আগামী ঝড় বৃষ্টির কবল থেকে নিরাপদে ধান ঘরে তোলার জন্য কালিহাতীর কৃষকরা এবার আগাম বীজতলা তৈরি করেছিলেন। তাই রোপণও শুরু হয়েছে অনেকটা আগে। জেলা জুড়ে এখন চলছে ধানের চারা রোপণের মহোৎসব।


ঊাংড়া  গ্রামের কৃষক রহিম জানান, এবার প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছি । বীজতলা থেকে শুরু করে সার, জমি তৈরি, ওষুধসহ জমি লাগানো পর্যন্ত বিঘা প্রতি প্রায় পাচঁ থেকে ছয় হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। খরচ প্রচুর বেড়েছে তাই ধান আবাদে যে পরিমাণ খরচ হয় বাজারের ধানের দাম কম থাকায় কৃষকদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। ধানের দাম বাড়ানোর দিকে সরকারের সুদৃষ্টি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।


কালিহাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মজিদ প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, উপজেলায় এ বছর প্রায় ১৮ হাজার ২৬৩ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ‘কোনো দুর্যোগ না থাকায় উপজেলায় যেমন এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছিল, তেমনি ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি। 


কৃষকদেরও প্রত্যাশা, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তারা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ইরি-বোরোর আবাদ করবেন। আমরা কৃষকদের নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছি। আমাদের লোকজন সব সময় কৃষকদের পাশে আছে।’