অফিস আদেশে জানানো হয়, ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে এবং ১৫ জুলাই ১০ নং (ছাত্র) হলের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। একই দিন রাতে ভিসির বাসভবনে আশ্রয় নেওয়া শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে পেট্রোলবোমা ও অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। পরদিন ১৭ জুলাই প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা ও ছররা গুলি ছোড়া হয়।
ঘটনাগুলোর তদন্ত ও সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে আজীবন বহিষ্কার ৬৪ জন, দুই বছরের জন্য বহিষ্কার ৩৭ জন, ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার ১ জন, দুই বছরের জন্য সনদ স্থগিত ৬ জন এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ বাতিল ৭৩ জনের।
আজীবন বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন দর্শন, লোক প্রশাসন, অর্থনীতি, আইন ও বিচার, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ইংরেজি, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব, পদার্থবিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান, সরকার ও রাজনীতি, প্রত্নতত্ত্ব, বাংলা, তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি, ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান, গণিত, উদ্ভিদবিজ্ঞান, রসায়ন, নৃবিজ্ঞান, একাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেমস, মার্কেটিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিরাপত্তা রক্ষা এবং ক্যাম্পাসে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে দৃঢ় অবস্থানের অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসন ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে শৃঙ্খলা বিধি কঠোরভাবে প্রয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রদায়ের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এটি ন্যায়সঙ্গত পদক্ষেপ হলেও, অন্যদের মতে, এর ফলে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বেড়ে যেতে পারে।