প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ২০:৪২
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাই টিভির চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দীনকে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রোববার (১৭ আগস্ট) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত নাসির উদ্দীনকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী থানায় রুজুকৃত হত্যা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আটক করা হয়েছে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান নিশ্চিত করেছেন, ডিবি পুলিশের একটি দল নাসির উদ্দীনের গ্রেপ্তার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। তাকে সঙ্গে সঙ্গে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃত নাসির উদ্দীন দীর্ঘদিন ধরেই মাই টিভি পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। যদিও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে তার সরাসরি বা পরোক্ষ ভূমিকার তদন্ত এখনো চলছে।
স্থানীয় আইনজ্ঞরা বলছেন, এই ধরণের গ্রেপ্তার আইনি প্রক্রিয়ার অংশ এবং তদন্তের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এটি জরুরি। তদন্ত চলাকালীন তাকে আদালতের নিকট হস্তান্তর করা হতে পারে এবং মামলার গুরুত্ব অনুযায়ী আদালত পর্যায়ক্রমে তার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবে।
মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। ডিবি পুলিশ এই মামলার সকল প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করে আদালতের সঙ্গে সমন্বয় করবে।
বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং সমাজে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এই ধরনের গ্রেপ্তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে গণমাধ্যম ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আইনের দৃষ্টি বিনা অবহেলা হওয়া উচিত নয়।
ডিবি পুলিশ নিশ্চিত করেছে, গ্রেপ্তারকৃত নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীন সময়ে কোনো ধরনের আইন ভঙ্গের ঘটনা না ঘটে, তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি মামলার সকল সাক্ষ্য ও প্রমাণাদি যথাযথভাবে আদালতে পেশ করা হবে।
নাসির উদ্দীনের গ্রেপ্তারের পর থেকে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আরও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তারা আশ্বস্ত করেছে, এই ধরনের ঘটনা পুনরায় ঘটবে না এবং আইনের চোখে সবাই সমান।
এ ঘটনায় সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া আসছে, এবং বিষয়টি দেশের গণমাধ্যমে যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছে। আদালত ও তদন্ত সংস্থাগুলো এখন পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে।