বাংলাদেশের রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘দেশের সবচেয়ে বড় ফ্যাসিস্ট’ বলে আখ্যায়িত করার পর। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে দাবি করেন যে, ড. ইউনূস ‘অনির্বাচিত ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল’ করেছেন।
জয় লিখেছেন, “অনির্বাচিত ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করা ইউনূস বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফ্যাসিস্ট।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, দেশের প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কথায় নিষিদ্ধ হতে পারে না।
ড. ইউনূস সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আওয়ামী লীগ ‘ফ্যাসিবাদের সব বৈশিষ্ট্য’ প্রকাশ করছে এবং এই দলের রাজনীতিতে আর কোনো স্থান নেই। ইউনূসের এই মন্তব্যের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক হয়েছে।
সজীব ওয়াজেদ জয় এর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ইউনূসের বক্তব্য বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহৎ রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান। জয় বলেন, “যখন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল, তখন এমন মন্তব্য শুধু বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।”
অন্যদিকে, জয় ড. ইউনূসের পদক্ষেপকে নির্বাচিত সরকার ও গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেছেন, “যারা দেশের গণতন্ত্রকে অগ্রাহ্য করছে, তারা দেশের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি।”
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশে ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে চলে যান। এরপর থেকেই দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই তর্ক বিতর্ক নতুন রাজনৈতিক জটিলতার সৃষ্টি করছে, যা দেশের শাসনব্যবস্থা ও জনগণের নৈতিকতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আরও উত্তেজনা ও বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে, যা আগামী নির্বাচনের পরিবেশকে প্রভাবিত করবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।