দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে ১২৯ রানে গুটিয়ে দিল টাইগ্রেসরা

বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন তরুণ স্পিনার স্বর্ণা আক্তার। ৩.৩ ওভার বল করে ৫ রান খরচায় তুলে নেন ৩ উইকেট। আশ্চর্যের বিষয়, নিজের প্রথম তিন ওভারই করেন মেইডেন। পাকিস্তানের ব্যাটারদের স্পিন ভেঙে দেয় তার বোলিং। এছাড়া মারুফা আক্তার ও নাহিদা আক্তার ২টি করে উইকেট দখল করেন। ফাহিমা খাতুন, রাবেয়া খান ও নিশিতা আক্তার নিশি নেন ১টি করে উইকেট।

পাকিস্তানের ইনিংসে শুরু থেকেই চাপ তৈরি করেন পেসার মারুফা আক্তার। ম্যাচের প্রথম ওভারেই তিনি দুই ডেলিভারিতেই ফেরান ওমাইমা সোহেল ও সিদরা আমিনকে। উভয়েই শূন্য রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। শুরুতেই পাকিস্তান পড়ে যায় বড় বিপাকে।

তৃতীয় উইকেটে মুনিবা আলী ও রামিন শামীম ৪২ রানের জুটি গড়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু নাহিদা আক্তার ভাঙেন সেই জুটি। ১৭ রান করা মুনিবাকে ফিরিয়ে দেন তিনি। কিছুক্ষণ পর ২৩ রান করা শামীমকেও ফেরান নাহিদা।

পরে সিদরা নাওয়াজ ১৫ রানে এলবিডব্লিউ হন রাবেয়ার বলে। এরপর আলিয়া রিয়াজ ও ফাতিমা সানার কল্যাণে দল শতক পেরোয়। তবে তারা বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। আলিয়া ১৩ ও ফাতিমা ২২ রান করে বিদায় নেন। শেষ দিকে ডায়ানা বাইগ ১৬ রানে অপরাজিত থাকলেও পাকিস্তানকে প্রতিযোগিতামূলক সংগ্রহে পৌঁছে দিতে পারেননি।

বাংলাদেশের জন্য এখন লক্ষ্য মাত্র ১৩০ রান। ওভারপ্রতি গড় প্রয়োজন ২.৬ রান। নিগার সুলতানা জ্যোতির দল যদি ধৈর্য ধরে ব্যাটিং করে, তবে জয় দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে পারবে তারা।