গাজীপুর মহানগরের গাছা থানায় যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে তাঁতিলীগের এক নেতার কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের সাথে একটি অডিও রেকর্ডও ফাঁস হয়েছে, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেছে।
অডিও রেকর্ডে শোনা যায়, যুবদলের নেতা রানা মিয়াকে তাঁর নাম কাটাতে বিশাল টাকা চাওয়া হচ্ছে। রেকর্ডে উল্লেখ করা হয়েছে, "তোর নাম কাটাইতে কি লাগবে-তুই বুঝিস? বিশ হাজার টাকা ইমার্জেন্সি আমার বিকাশ নম্বর আছে।" এসময় রুবেল সরকার, যিনি যুবদলের আহ্বায়ক সদস্য, রানা মিয়াকে চাঁদা না দিলে মামলা হওয়ার হুমকি দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রানা মিয়া গাছা থানায় হত্যা মামলায় ২৮ নম্বর আসামি।
রানা মিয়া জানিয়েছেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) রুমে বসে তার কাছে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। এছাড়া, অভিযোগ করা হচ্ছে যে রুবেল সরকার এলাকায় ভীতি ছড়িয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে মোটরসাইকেল মহড়া, পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা দখল, ডিশ ব্যবসা দখলের চেষ্টার পাশাপাশি মসজিদ দখল করার হুমকি দেওয়ার।
এ বিষয়ে রুবেল সরকার দাবি করেন, তিনি রানাকে ফোন করেননি এবং অডিও রেকর্ডের বিষয়টি সত্য নয়। তিনি বলেন, "স্থানীয় একটি পক্ষ যারা আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা, তারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।"
মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক সাজেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি অডিও রেকর্ডটি শুনেছেন এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও বিষয়টি অবহিত করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
এ ঘটনার পর স্থানীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই ধরনের অভিযোগ এবং প্রতিক্রিয়া সাধারণ জনগণের মাঝে অস্বস্তি তৈরি করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান চাচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।