রাজধানী ঢাকা, সিলেট এবং কুমিল্লায় শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভারতের নাগাল্যান্ডের ফেক শহরে এ ভূমিকম্পের উৎপত্তি। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবায়েত কবীর জানিয়েছেন, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের একটি স্থান, যা ঢাকা থেকে ৪৮২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এর প্রভাবে রাজধানীসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট এবং এর আশপাশের কিছু এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে।
সিলেট থেকে মাসুদ আহমদ রনি জানিয়েছেন, কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এই ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে অনেকে ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে রাস্তায় চলে আসেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ফেসবুকের বিভিন্ন পোস্টে জানা গেছে, কুমিল্লাতেও অনেকে ভূমিকম্প অনুভব করেছেন। ভূমিকম্পের প্রভাবে এসব এলাকায় সাময়িক আতঙ্ক সৃষ্টি হলেও বড় কোনো বিপর্যয়ের খবর পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পটি বেশিরভাগ এলাকায় হালকা মাত্রায় অনুভূত হয়েছে। তবে রিখটার স্কেলে ৫ মাত্রার ভূমিকম্প মাঝারি ঝাঁকুনি সৃষ্টি করতে পারে এবং ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত মানুষেরাও সামাজিক মাধ্যমে ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। কম্পনের সময় অনেকেই অফিস বা বাড়ি থেকে বের হয়ে নিরাপদ স্থানে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। তবে কম্পনের স্থায়ীত্ব কম হওয়ায় পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসে।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ একটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় মাঝেমধ্যেই এমন কম্পন অনুভূত হয়। তবে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি এড়াতে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
এই ধরনের ভূমিকম্প থেকে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জনসাধারণকে ভূমিকম্পের সময় কী করণীয় তা জানিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন। ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের প্রভাব মোকাবিলায় স্থাপত্যশৈলী এবং নগর পরিকল্পনায় আরও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।