আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নে ২য় শ্রেণির ছাত্রীর হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার ও আরও দু'জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিহত শিশু কন্যার নাম নুসরত জাহান (৯)। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে, কুল্যা ইউনিয়নের আগরদাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্রী নুসরতকে মাওঃ সোলায়মান আজিজীর পুকুরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার হাত-পা-গলায় কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল।
নুসরত জাহান (৯) শনিবার দুপুরে নিখোঁজ হয়ে গেলে তার পরিবারের সদস্যরা এবং স্থানীয়রা তাকে খুঁজতে বের হয়। পরে সোলায়মান আজিজীর পুকুরে নুসরতকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে, পুলিশ প্রশাসন এবং স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় আশাশুনি থানার ওসি নজরুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম এবং তালা সার্কেলের এএসপি হাসানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ তদন্তের জন্য স্থানীয় জনগণের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
এ ঘটনায় পুলিশ এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে, যার নাম জনি (২৫)। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং তার দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানা যায়, নুসরত হত্যার পর তার কানের দুল ছিঁড়ে নিয়ে বিক্রি করতে গিয়েছিল। সেই কানের দুল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এছাড়াও, ঘটনার সাথে আরও দুজনের সম্পৃক্ততা সন্দেহে তাদেরও পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের পর হত্যার পুরো চিত্র উন্মোচন হবে।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা রবিউল ইসলাম রুবেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার নম্বর ৪, তারিখ ১৫/১২/২৪।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।