সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করতে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন।
জর্ডানে সিরিয়া নিয়ে এক সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন ব্লিঙ্কেন। তিনি জানান, "আমরা এইচটিএস এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।" তবে তিনি এই সম্পর্কের বিস্তারিত বা যোগাযোগের ধরন সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য দেননি।
এ তথ্যটি প্রকাশিত হয় এমন এক সময়ে, যখন প্রায় ১২ বছর পর সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে আবারও তুরস্ক তাদের দূতাবাস চালু করেছে। সিরিয়া-সংকটের শুরু থেকে তুরস্ক সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত এবং এই অঞ্চলে তাদের প্রভাব বিস্তার করেছে। তুরস্কের সরকার এইচটিএসের সঙ্গে কার্যকর সম্পর্ক বজায় রেখে আসছে, যেটি সিরিয়ায় আসাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম শক্তিশালী গোষ্ঠী।
এদিকে, সিরিয়ার সংকটের সমাধান নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। তুরস্ক সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ সংঘাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, বিশেষত আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি তার সমর্থন এবং এইচটিএসের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন যোগাযোগের ঘটনাটি সিরিয়ায় পশ্চিমা শক্তির নীতির উপর নতুন আলো ফেলছে। সিরিয়া সংকটের সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক পদক্ষেপ এবং তুরস্কের সম্প্রতি পরিবর্তিত নীতি, মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে এক নতুন রাজনৈতিক দৃশ্যপট তৈরি করতে পারে।
তবে এটি স্পষ্ট নয় যে এই যোগাযোগ সিরিয়ার ভবিষ্যত রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে যখন তুরস্ক সিরিয়ায় নতুন করে তার ভূমিকা শক্তিশালী করছে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।