বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে সশরীরে হাইকোর্টে গিয়ে তিনি এই আবেদন জমা দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনী প্রণয়ন করে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয়। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটার পর, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গত ১৯ আগস্ট হাইকোর্ট এই সংশোধনী নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
এখন সবার নজর চূড়ান্ত শুনানির দিকে, যা আগামী ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নেতারা এই শুনানির মাধ্যমে পঞ্চদশ সংশোধনীর আইনগত বৈধতা নিয়ে নতুন করে বিচার চাইছেন, যা দেশের রাজনৈতিক পেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের মতামতের প্রতি সম্মান জানিয়ে সংবিধানের এই সংশোধনী বাতিল হওয়া উচিত। আমাদের দাবি স্পষ্ট, জনগণের প্রতিনিধিত্ব এবং স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে।"
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই আবেদনের মাধ্যমে বিএনপি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং এটি দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে নতুন আলোচনার সূচনা করতে পারে।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে বিএনপির এই পদক্ষেপ দেশের রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনা এবং দ্বন্দ্বের নতুন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিতর্কের পটভূমিতে এই আবেদনের গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না।
এখন দেখার বিষয় হল, আদালতের রায় কি ধরনের রাজনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে এবং এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা কতটা পাল্টাতে পারে। বিএনপির এই আবেদন আগামী দিনের রাজনৈতিক আন্দোলন ও কার্যক্রমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।