বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গত শনিবার (৮ মার্চ) নিশ্চিত করেছে যে, নাজমুল হোসেন শান্তকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হবে। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর সাকিব আল হাসান অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর তিন ফরম্যাটের নেতৃত্ব নেন শান্ত। তার অধিনায়কত্বের শুরুটা ভালো হলেও সময়ের সাথে সাথে তার ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে শান্তর ধারাবাহিকতা এবং স্ট্রাইক রেট ছিলো আলোচনার বিষয়।
২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে ছিলেন শান্ত। সেমিফাইনালে যাওয়ার কিছুটা সম্ভাবনা থাকলেও অবশেষে তারা ব্যর্থ হয় এবং বিশ্বকাপ শেষ করে দেশে ফিরে আসার পর শান্ত নিজেই অধিনায়কত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন। তবে বিসিবির অনুরোধে তিনি সেটি পরিত্যাগ করেন এবং অধিনায়কত্বে থাকেন। যদিও তার অধিনায়কত্বের কার্যকাল নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে, তবুও তাকে এখন পর্যন্ত ওয়ানডে এবং টেস্টের অধিনায়ক হিসেবে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শিগগিরই ঘোষণা করা হবে। বিসিবি প্রধান বলেন, “এখন পর্যন্ত যারা টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব করেছেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখনো দলের বাইরে নন। আমরা তাদের মধ্যে থেকেই সিদ্ধান্ত নিবো।”
এদিকে, বাংলাদেশের ক্রিকেটে একজন কিংবদন্তি হিসেবে পরিচিত মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায়ের পর মুশফিক নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ার শেষ করেন এবং এই দুই ফরম্যাটে অসংখ্য ঐতিহাসিক জয়ের অংশীদার হিসেবে তার অবদান চিরকাল স্মরণীয় থাকবে।
বিসিবি তার অবদানের জন্য একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করার কথা জানিয়েছে। বিসিবি সভাপতি বলেন, "১৯ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে মুশফিক বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তার অসামান্য অবদানকে সম্মান জানাতে আমরা একটি বিশেষ আয়োজন পরিকল্পনা করছি।"
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।