হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় ধলেশ্বরী খাঞ্জা বিলের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। রোববার বেলা আড়াইটার দিকে শিবপুর ও সন্তোষপুর গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিবপুর গ্রামের জনকল্যাণ সমবায় সমিতি ও সন্তোষপুর আনন্দময়ী মৎস্য সমিতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিলের মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর আগেও কয়েকবার উত্তেজনা দেখা দিলেও এবার তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। উভয় পক্ষ লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি রাতের আঁধারে টর্চের আলো জ্বালিয়ে একই বিলের দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। তবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। এবার সংঘর্ষ আরও বড় আকার ধারণ করায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগে থেকেই পদক্ষেপ নেওয়া হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতো না। তারা দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ আশা করছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে এবং ভবিষ্যতে যাতে সংঘর্ষ না ঘটে, সে জন্য উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা।
বিলের মালিকানা নিয়ে বিরোধ নিরসনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আলোচনার চেষ্টা করছেন। তবে দুই পক্ষের অনড় অবস্থানের কারণে সমাধান সহজ হচ্ছে না। প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ছাড়া সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয় বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
সংঘর্ষের ঘটনার পর স্থানীয়রা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। পরিস্থিতি যাতে আর উত্তপ্ত না হয়, সে জন্য প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।