গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোর্ডঘর এলাকায় তিনটি ট্রাকের সংঘর্ষে দুই চালক ও এক সহযোগী নিহত হয়েছেন। শনিবার ভোরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নাওজোড় হাইওয়ে থানার ওসি রইছ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন বগুড়ার শিবগঞ্জের শাহাদত হোসেন, কাহালুর মো. সবুজ এবং টাঙ্গাইল সদরের মো. আরিফ হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর ৫টার দিকে টাঙ্গাইলগামী একটি ট্রাক কালিয়াকৈরের বোর্ডঘর এলাকায় বিকল হয়ে পড়ে। এরপর আরেকটি ট্রাকের সহায়তায় সেটি সরানোর চেষ্টা চলছিল। ঠিক সেই সময় দ্রুতগতির একটি তৃতীয় ট্রাক পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দিলে বিকল ট্রাকের দুই চালক এবং সহযোগী দুটো ট্রাকের মাঝখানে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
সংঘর্ষের পর মহাসড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হয়। তবে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন সরিয়ে নেয়। স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকায় মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে, কারণ অনেক চালক নিয়ম না মেনে দ্রুতগতিতে যান চালান, যা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। শাহাদত ও সবুজ ছিলেন ট্রাকচালক, আর আরিফ সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। তাদের পরিবার এ শোক সহ্য করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নাওজোড় হাইওয়ে থানার ওসি জানান, নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া চলছে। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ট্রাকটি শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা মহাসড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, দ্রুতগতি ও অসতর্কতার কারণেই একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নজরদারি আরও বাড়ানো উচিত বলে তাদের মত।
বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা দিন দিন বাড়ছে, বিশেষ করে মহাসড়কে। পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চালকদের প্রশিক্ষণ, যানবাহনের যথাযথ মেরামত ও সঠিক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো সম্ভব।
এ ঘটনায় পুলিশ যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দিলেও স্থানীয়রা চাইছেন আরও কঠোর ব্যবস্থা, যাতে ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।