জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে গোপালপুর খেলার মাঠে প্রায় ২ শতাধিক অসহায় মানুষের মধ্যে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়। এ উদ্যোগটি স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জিল্লুর রহমানের আহ্বানে এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়। কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এস এম সামস মতিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ফিরোজ হোসেন মাস্টার, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু রায়হান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ফিরোজ আহম্মেদ এবং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নুরুজ্জামান হোসেন। এ অনুষ্ঠানে অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বর্তমান দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী নির্বাচনের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন। তারা উপস্থিত শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণের পাশাপাশি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলকে আরো শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, “আমরা সবাই মিলে ধানের শীষে ভোট দেব এবং দলের প্রতি আমাদের সমর্থন দৃঢ় রাখবো।”
এ অনুষ্ঠানে কম্বল গ্রহণকারী শীতার্তরা তাদের কৃতজ্ঞতা জানান এবং বলেন যে, এই শীতের তীব্রতা সহ্য করা তাদের জন্য কষ্টকর ছিল। তবে এই কম্বল পাওয়ার পর তারা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। কম্বল বিতরণের এই উদ্যোগটি এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে এবং তারা একে একটি মানবিক উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা বলেন, শীতে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো একটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সমাজের উন্নতির জন্য এটি অপরিহার্য। তারা এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সমাজে সহযোগিতা এবং সহমর্মিতার পরিবেশ তৈরির জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানান।
এছাড়া, অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা বলেন, তারা আগামীদিনে আরো বড় আকারে এই ধরনের উদ্যোগ নিতে চান, যাতে শীতের কঠিন সময়ে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সাহায্য করা যায়। তারা আশা করেন, এই উদ্যোগটি সমাজে একে অপরের সাহায্য করার একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।
এই কম্বল বিতরণ কর্মসূচি ছিল শুধু শীতার্তদের জন্য নয়, বরং এটি একটি সামাজিক সংহতি এবং মানবিক সহায়তার প্রতীক হিসেবে কাজ করেছে। শীতের মধ্যে যেখানে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন, সেখানে এই ধরনের সাহায্য উদ্যোগ তাৎপর্যপূর্ণ এবং মানবিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ।
অনুষ্ঠান শেষে এলাকার সাধারণ মানুষরা নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন এবং জানান যে, এই ধরনের সাহায্য কর্মসূচি যদি আরও বেশি করে চালু হয়, তাহলে সমাজের দুর্বল এবং অসহায় মানুষের জীবনযাত্রা অনেকটা সহজ হবে। তাদের মতে, শুধু শীতকাল নয়, বরং সারাবছরই এই ধরনের সাহায্যের কার্যক্রম চালানো উচিত, যাতে সমাজের সব শ্রেণীর মানুষ উপকৃত হতে পারে।
এ অনুষ্ঠানটি স্থানীয় জনগণের মধ্যে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করেছে, যেখানে জনগণের মাঝে সহযোগিতার অনুভূতি আরও দৃঢ় হয়েছে। তারা আশা করেন, এই ধরনের উদ্যোগগুলো দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়বে এবং সামাজিক সম্প্রীতির ভিত্তি মজবুত হবে।
কম্বল বিতরণের এই উদ্যোগটি শুধু একটি ছোট পদক্ষেপ হলেও, এটি একটি বড় বার্তা দেয় যে, সমাজের মানুষের প্রতি সহানুভূতি এবং মানবিক মূল্যবোধের গুরুত্ব অপরিসীম।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।