বরিশালে বাস ভাঙচুরের ঘটনায় এর প্রতিবাদে পটুয়াখালীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে বাস মালিক সমিতির ডাকে এই ধর্মঘট শুরু হলে সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারেননি অনেকে।
খুলনা থেকে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটক শিহাব জানান, এক আত্মীয় অসুস্থ হওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে ফেরার জন্য বাসস্ট্যান্ডে আসলেও কোনো বাস পাচ্ছেন না। কাউন্টারেও কেউ সঠিকভাবে জানাতে পারছেন না কখন বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এদিকে, অফিসগামী যাত্রীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বরিশালের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা সোহেল মিয়া জানান, সকালে বাস ধরতে এসে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত মোটরসাইকেলে রওনা দিচ্ছেন।
পটুয়াখালী বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির খন্দকার জানান, বরিশালে বাস ভাঙচুরের ঘটনায় প্রশাসনের সঙ্গে বাস মালিক সমিতির বৈঠক হলেও কোনো সমাধান আসেনি। ফলে বাধ্য হয়ে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দূরপাল্লার যাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বিশেষ করে কুয়াকাটাগামী পর্যটক ও স্থানীয় যাত্রীরা যানবাহনের সংকটে পড়েছেন।
স্থানীয় পরিবহন শ্রমিকরাও ধর্মঘটের কারণে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তাদের অনেকেই বলছেন, দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে তারা বড় ধরনের সংকটে পড়বেন।
ধর্মঘটের কারণে শহরের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড ও কাউন্টারে অপেক্ষারত যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। বিকল্প যানবাহনের অভাব ও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রশাসন ও বাস মালিক সমিতির মধ্যে আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে। যাত্রীরা দ্রুত বাস চলাচল শুরুর দাবি জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।