বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বার্ষিক সমুদ্র মহড়া ‘এক্সারসাইজ সেফগার্ড’ সফলভাবে শেষ হয়েছে। এই মহড়ার মধ্যে নৌবাহিনী সফলভাবে মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে, যা বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর শক্তির এক গুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই মহড়ার সমাপনী অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর প্রধানরা নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজে উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁরা মহড়ার মূল অংশ প্রত্যক্ষ করেন।
মহড়ার শুরুতেই বাহিনী প্রধানকে স্বাগত জানাতে কমান্ডার বিএন ফ্লিট একটি গার্ড অব অনার প্রদান করেন। তার পর, নৌবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তাদের অভ্যর্থনা জানান। মহড়ার সমাপ্তি হওয়ার পর, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শুরু করেন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, এই বার্ষিক মহড়া বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার সুরক্ষা এবং জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংকটকালীন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সামুদ্রিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে এই মহড়া আয়োজন করা হয়।
মহড়ায় অংশগ্রহণকারী নৌবাহিনীর জাহাজগুলোর মধ্যে ফ্রিগেট, করভেট, ওপিভি, মাইন সুইপার, পেট্রোল ক্রাফট, মিসাইল বোটসহ নানা ধরণের যুদ্ধজাহাজ ছিল। এছাড়া, নৌবাহিনীর মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট, হেলিকপ্টার এবং বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াড মহড়ায় উপস্থিত ছিল।
এছাড়া, বাংলাদেশ সেনা ও বিমান বাহিনী, কোস্ট গার্ডসহ সংশ্লিষ্ট মেরিটাইম সংস্থাগুলোও মহড়ায় অংশগ্রহণ করে। এ মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের সামরিক শক্তি ও সমুদ্র সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রদর্শিত হয়েছে।
এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি সংকটপূর্ণ সময়ে সামরিক বাহিনীর মধ্যে শক্তিশালী সমন্বয় তৈরি করা। এর মাধ্যমে দেশের সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এ বছর এই মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী তাদের শক্তির নতুন মাত্রা প্রদর্শন করেছে এবং সাফল্যের সঙ্গে এক্সারসাইজ সেফগার্ড শেষ করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।