নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কে টমেটো ফেলে বর্ধিত ভ্যাট-শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে অবরোধ করেছেন কৃষকরা। বুধবার দুপুরে নাটোরের বেলঘড়িয়া বাইপাস এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। কৃষকরা জানান, বর্ধিত ভ্যাট ও শুল্ক তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পাওয়াকে আরও কঠিন করে তুলেছে। অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে কৃষকরা ফসল উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হবেন।
এদিন সকালে বেলঘড়িয়া বাইপাস এলাকায় কৃষকরা 'বর্ধিত ভ্যাট-শুল্ক প্রত্যাহার করো, কৃষকের জীবন বাঁচাও' স্লোগান তুলে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। পরে সড়কের ওপর টমেটো ফেলে অবরোধ করেন তারা। এতে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানায়।
কৃষকরা জানান, সরকার ফসল উৎপাদনের উপকরণ ও পরিবহনের ওপর যে ভ্যাট ও শুল্ক বসিয়েছে, তা প্রত্যাহার না হলে তারা চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন। উৎপাদিত পণ্যের দাম না পেলে কৃষকরা আর্থিকভাবে ভেঙে পড়বেন এবং ভবিষ্যতে চাষাবাদে আগ্রহ হারাবেন। তারা বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, অথচ বর্তমান নীতির কারণে কৃষকের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে।
একজন ক্ষুব্ধ কৃষক বলেন, "আমরা টমেটো চাষ করে ন্যায্য দাম পাচ্ছি না, উল্টো আমাদের ওপর কর বসানো হচ্ছে। আমরা যদি এসব বিক্রি না করতে পারি, তাহলে পুরোপুরি পথে বসতে হবে।" আরেকজন জানান, "ভ্যাট-শুল্ক বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবহন খরচ বেড়েছে, কিন্তু বাজারে ফসলের দাম আগের মতোই কম। এতে আমরা শুধু ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।"
অবরোধ চলাকালে একাধিক কৃষক জানান, সরকার যদি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না করে, তাহলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন। তারা বলেন, কৃষকরা বছরের পর বছর কষ্ট করে ফসল ফলান, কিন্তু উপযুক্ত মূল্য না পেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হন। এবার ভ্যাট-শুল্ক আরোপের কারণে তাদের কষ্ট আরও বেড়েছে।
এ বিষয়ে নাটোর কৃষি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, কৃষকদের দাবি যৌক্তিক। তারা যেন ন্যায্য মূল্যে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারেন, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। তবে ভ্যাট-শুল্ক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।