জামালপুরে পুষ্টি সভা, মেধাভিত্তিক উন্নয়নের তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
শাওন মোল্লা , জেলা প্রতিনিধি- জামালপুর
প্রকাশিত: বুধবার ২৯শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৬:১৯ অপরাহ্ন
জামালপুরে পুষ্টি সভা, মেধাভিত্তিক উন্নয়নের তাগিদ

জামালপুরে সকল শিশুদের পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে এনাম ক্যাম্পেইন ও নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভার আয়োজন করে ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘ। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম, সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডাঃ ফজলুল হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাকিয়া সুলতানা, উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা, ওয়ার্ল্ড ভিশনের অ্যাডভোকেসি লিড তানজিমুল ইসলাম, সিনিয়র ম্যানেজার সেবাস্টিয়ান পিউরিফিকেশন, এরিয়া ম্যানেজার বিমল জেমস কস্তা, উন্নয়ন সংঘের জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার মিনারা পারভীন ও পুষ্টিবিদ জাহিদা সুলতানা।  


জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য মেধার বিকাশ জরুরি, আর মেধার বিকাশে সঠিক পুষ্টি অপরিহার্য। পুষ্টিহীনতা প্রতিরোধে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। তার মতে, অনেক পরিবার পুষ্টিকর খাবার উৎপাদন করলেও অজ্ঞতার কারণে সেগুলো ঠিকমতো গ্রহণ করে না। তাই গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে পুষ্টি সম্পর্কে শিক্ষিত করতে হবে।  


তিনি গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ নিশ্চিত করতে পিতা, মাতা, শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীকে পুষ্টিকর্মীদের মাধ্যমে পরামর্শ দেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য গর্ভকাল থেকেই সঠিক পুষ্টির গুরুত্ব অপরিসীম।  


সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, অপুষ্টির কারণে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, যা ভবিষ্যতে তার মেধা ও সামগ্রিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। তাই পরিবার থেকে শুরু করে কমিউনিটি পর্যায়ে পুষ্টির ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করা দরকার।  


ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘের প্রতিনিধিরা বলেন, তাদের সংস্থাগুলো পুষ্টি বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দরিদ্র পরিবারগুলোকে পুষ্টিকর খাদ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা হচ্ছে।  


পুষ্টিবিদরা বলেন, শুধু খাবার গ্রহণ করলেই চলবে না, সঠিক পদ্ধতিতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, প্রোটিন ও খনিজ নিশ্চিত করতে হবে।  


আলোচনা শেষে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে জামালপুর জেলায় পুষ্টিহীনতা দূরীকরণের পরিকল্পনা গ্রহণের আশ্বাস দেন। শিশুদের সুস্থ বিকাশ ও টেকসই উন্নয়নের জন্য পুষ্টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দেন বক্তারা।