পিরোজপুরের নেছারাবাদে যুবক হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোক্তার আলমের আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে দুইজন উপস্থিত ছিলেন, বাকি দুইজন পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন রফিকুল ইসলাম (৫৫), জসিম আকন (৪৫), আ. জব্বার হিরু (৭০) ও খোকন মোল্লা (৫০)। রায় ঘোষণার সময় রফিকুল ইসলাম ও জসিম আকন পলাতক ছিলেন, অন্য দুইজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, নিহত হারুন অর রশিদ (৩৫) বরিশাল একাউন্টস অফিসে এমএলএসএস পদে চাকরি করতেন এবং তার কাছে নিয়মিত টাকা থাকত। ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর রাতে তিনি নেছারাবাদের সারেংকাঠী ইউনিয়নের বিষ্ণুকাঠী এলাকায় পৌঁছালে দণ্ডপ্রাপ্তরা তাকে হত্যা করে ছয় হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে লাশ খালের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলাটি দীর্ঘ সময় চলার পর বুধবার আদালত রায় ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ওয়ালিদ হাসান বাবু জানান, আদালত দণ্ডপ্রাপ্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ার পর আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। যেহেতু দুইজন আসামি এখনও পলাতক, তাই তাদের গ্রেফতারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
এ রায়ে নিহতের পরিবার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে এবং দ্রুত পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি অপরাধীদের জন্য সতর্কবার্তা হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ কমাতে সহায়ক হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।