টেকনাফে ৬ ইটভাটাকে ১২ লাখ টাকা অর্থদন্ড প্রদান ও কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আমান উল্লাহ কবির,নিজস্ব প্রতিনিধি টেকনাফ (কক্সবাজার)
প্রকাশিত: বুধবার ২৯শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৪:৩৪ অপরাহ্ন
টেকনাফে ৬ ইটভাটাকে ১২ লাখ টাকা অর্থদন্ড প্রদান ও  কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এতে ৬টি ইটভাটাকে মোট ১২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং তাদের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং-এর বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রেজওয়ান-উল-ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জমির উদ্দিন, জেলা পুলিশ, টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ, র‍্যাব-১৫ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এতে উপস্থিত ছিলেন। 


ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯)-এর বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে এ অভিযান চালানো হয়। মোবাইল কোর্টে প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট আবদুছ ছালাম ও পরিদর্শক মুসাইব ইবনে রহমান। প্রতিটি ইটভাটাকে দুই লাখ টাকা করে মোট ১২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয় এবং তাদের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। 


অভিযানের শিকার ইটভাটাগুলোর মধ্যে রয়েছে হোয়াইক্যংয়ের দৈংগাকাটা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স এ আর বি বিক্সস, মেসার্স এস এম বি বিক্স, মেসার্স এম কে বি বিক্স, মেসার্স এ এইচ বি বিক্স, মেসার্স কে এন বি বিক্স এবং লাতুরিখোলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স এম আর বি বিক্স। এগুলো সবই অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। 


কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. রুনায়েত আমিন রেজা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পরিবেশ সুরক্ষায় অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, পরিবেশ আইন লঙ্ঘনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। 


টেকনাফ উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। ইটভাটাগুলো থেকে নির্গত ধোঁয়া ও বিষাক্ত গ্যাসে বাতাস দূষিত হচ্ছে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া ইটভাটাগুলোতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা কাঠের জন্য আশেপাশের বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে, যা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে। 


স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইটভাটাগুলোর কার্যক্রমের কারণে তাদের ফসলের ক্ষতি হচ্ছে এবং পানির উৎস দূষিত হচ্ছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যার সমাধান চেয়ে আসছিলেন। অবশেষে পরিবেশ অধিদপ্তরের এ অভিযানে তাদের আশার আলো দেখা দিয়েছে। 


পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার আগে তাদেরকে আইন মেনে চলার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা নোটিশের তোয়াক্কা না করে অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 


অভিযানের সময় ইটভাটাগুলোর মালিকদের উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। তারা অর্থদণ্ড পরিশোধ করেছেন এবং তাদের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ মেনে নিয়েছেন। তবে তারা অভিযোগ করেছেন যে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার আগে সঠিকভাবে তদন্ত করা হয়নি। তারা আরও দাবি করেছেন যে, তাদের ইটভাটাগুলো আইন মেনে পরিচালিত হচ্ছিল। 


পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার আগে প্রাথমিক তদন্ত করা হয়েছিল। তদন্তে দেখা গেছে, ইটভাটাগুলো পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 


কক্সবাজার জেলায় ইটভাটার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এগুলোর বেশিরভাগই অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জেলার অন্যান্য এলাকায়ও অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া ইটভাটাগুলোকে আইন মেনে চলার জন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। 


পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. রুনায়েত আমিন রেজা বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান তারই অংশ। তিনি আরও বলেন, পরিবেশ আইন লঙ্ঘনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। 


টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দারা পরিবেশ অধিদপ্তরের এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা আশা করছেন, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকলে এলাকার পরিবেশের উন্নতি হবে এবং তাদের জীবনযাত্রার মানও উন্নত হবে। 


পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ইটভাটাগুলোকে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা হবে। 


কক্সবাজার জেলায় পরিবেশ সুরক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অন্যতম। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং পরিবেশ আইন লঙ্ঘনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দারা পরিবেশ অধিদপ্তরের এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা আশা করছেন, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকলে এলাকার পরিবেশের উন্নতি হবে এবং তাদের জীবনযাত্রার মানও উন্নত হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ইটভাটাগুলোকে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা হবে। 


কক্সবাজার জেলায় পরিবেশ সুরক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অন্যতম। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং পরিবেশ আইন লঙ্ঘনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।