বিয়ানীবাজার সীমান্তে সতর্ক বিজিবি, ভারত থেকে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি, সিলেট
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৩রা ডিসেম্বর ২০২৪ ০৪:৪৩ অপরাহ্ন
বিয়ানীবাজার সীমান্তে সতর্ক বিজিবি, ভারত থেকে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা

বাংলাদেশের কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ এলাকায় হিন্দু ঐক্যমঞ্চের নেতৃত্বে একটি বিক্ষুব্ধ জনতা বাংলাদেশ অভিমুখে মার্চ করার চেষ্টা করেছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সিলেটসহ সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।  


ভিডিওতে দেখা যায়, করিমগঞ্জের সুতারকান্দি সীমান্ত চেকপোস্টের কাছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং পুলিশের সদস্যরা কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভকারীদের থামানোর চেষ্টা করছেন। বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য জোরপূর্বক অগ্রসর হতে চাইলে তাদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএসএফ সদস্যরাও অংশ নেন।  


বিজিবির ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী হাসান জানান, বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের সীমানা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থান করেছিল। কোনো অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি। তবুও সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।  


বিক্ষোভকারীদের দাবি, তারা বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। এক হিন্দু ঐক্যমঞ্চ নেতা বলেন, "জীবন গেলেও আমরা বাংলাদেশে যাব। সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ করতেই এই মার্চ করছি।"  


এ ঘটনায় বিয়ানীবাজার ও জকিগঞ্জ সীমান্তে বিজিবি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সীমান্ত এলাকাগুলোতে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে এবং যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বিজিবি সিলেটের অতিরিক্ত পরিচালক (অপারেশন) মেজর গাজী মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জানান, সীমান্তে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।  


এদিকে, ভারতের শ্রীভূমি এলাকায় বিক্ষোভকারীরা জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএসএফের পাশাপাশি ভারতীয় প্রশাসনও কাজ করছে।  


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ ঘটনার পর সিলেট অঞ্চলে জনমনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আশ্বস্ত করেছে, সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথভাবে বজায় রাখা হয়েছে।