ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির বিক্ষোভ থেকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম *দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস* জানিয়েছে, সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে ঢুকে হামলাকারীরা বাংলাদেশি জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে, সম্পদ ভাঙচুর করে এবং সাইনবোর্ডে আগুন দেয়। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সাব-ইনস্পেক্টর দিলু জমাতিয়া, জয়নাল হোসাইন এবং সার্জেন্ট দেবব্রত সিংহকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবারের হামলার পরপরই ত্রিপুরা পুলিশ কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা জোরদার করেছে এবং অতিরিক্ত মোবাইল টহল ব্যবস্থা চালু করেছে। ঘটনার তদন্তের জন্য নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স থানায় মামলা হয়েছে।
হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির সমর্থকরা বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর কথিত নিপীড়ন এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে সহকারী হাইকমিশনে আক্রমণ চালায়। বিক্ষোভকারীদের ছয়জনের একটি দল স্মারকলিপি দেওয়ার কথা বলে ঢুকে পড়ে এবং একপর্যায়ে হামলা চালায়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ভারত সরকারের কাছে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের পরিকল্পিতভাবে হাইকমিশনে হামলা চালানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে, আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের এই ঘটনায় কূটনৈতিক নীতি লঙ্ঘিত হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে নয়াদিল্লি এবং অন্যান্য স্থানের বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, একই দিন আগরতলার ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। তবে পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
এ ধরনের হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কূটনৈতিক মহল বলছে, এমন ঘটনা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য অপ্রত্যাশিত এবং নিন্দনীয়। কূটনৈতিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উভয় দেশের দায়িত্ব।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।