দিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তে থাকায় সাধারণ মানুষ সিলেটের বাজারে নাভিশ্বাস ফেলছেন। বিশেষ করে আলু ও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি তাদের নিত্যদিনের খরচে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। সিলেটের বাজারে বর্তমানে আলুর দাম ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি, যা গত মাসে ছিল ৫৫-৬০ টাকা। পাশাপাশি, দেশি পেঁয়াজের দাম ১৪০-১৫০ টাকা কেজি, যা আগের তুলনায় ২০-৩০ টাকা বেড়েছে। তবে, ভারতীয় পেঁয়াজ কিছুটা সস্তা হলেও তা ১২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
রোববার সিলেট নগরীর বিভিন্ন বাজারে ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা এ পরিস্থিতি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। মিজানুর রহমান নামে একজন ক্রেতা বলেন, "আলুর দাম ৭০ টাকা কেজি, এটা মানা যায় না। কিন্তু আলু পেঁয়াজ তো খেতেই হবে, বিকল্প কিছু নেই। যদি ১০ কেজি আলু ও পেঁয়াজ কিনতে হয়, তাহলে এক হাজার টাকা খরচ হবে। এটা কি স্বাভাবিক?"
এদিকে, সোবহানীঘাটের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, মৌসুম শেষের দিকে চলে আসায় দাম বাড়ে। তবে এ বছর দাম শুরু থেকেই বেশ চড়া ছিল, যা বাজারের অস্থিতিশীলতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এছাড়া, তেলের দামেও কিছুটা অস্থিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে ১৭০-১৭১ টাকা লিটার হয়েছে, যা আগের তুলনায় ৫-৭ টাকা বেশি। পাম তেলও ১৬২-১৬৫ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে, ব্রয়লার মুরগি ও সোনালি মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৭৫-১৮০ টাকা কেজি এবং সোনালি মুরগির দাম ৩১০-৩২০ টাকা কেজি।
শীতের সবজির দাম কিছুটা কমেছে গত মাসের তুলনায়। ঢ্যাঁড়স, পটোল, ঝিঙা, চিচিঙা ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের মাসে ৮০-১০০ টাকার ওপরে ছিল। এছাড়া, ফুলকপি, লাউ, বেগুন, বরবটি, করলা, কাঁকরোলের দামও কিছুটা কমেছে। তবে কাঁচা মরিচের দাম ১৬০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে উঠেছে।
বাজারে ক্রেতাদের ক্ষোভ এবং অসন্তুষ্টি বাড়ছে, বিশেষত আলু ও পেঁয়াজের দামের কারণে। শীতের সবজির দাম কমলেও, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এ অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনে তীব্র চাপ তৈরি করেছে। ব্যবসায়ীদের মতে, এই দাম বৃদ্ধি সাময়িক, কিন্তু আগামী দিনে বাজার স্থিতিশীল হওয়ার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।