মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তারেক রহমানের শ্রদ্ধা নিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার ১৭ই নভেম্বর ২০২৪ ০৩:৫১ অপরাহ্ন
মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তারেক রহমানের শ্রদ্ধা নিবেদন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে তারেক রহমান বলেন, মাওলানা ভাসানী বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম, যিনি সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের এক অগ্রণী নেতা ছিলেন।  


তারেক রহমান লিখেছেন, “মাওলানা ভাসানী দেশমাতৃকার মুক্তির পথ প্রদর্শক হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।” তিনি বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি জনতার অধিকার আদায়ে মাওলানা ভাসানী ছিলেন এক আলোকবর্তিকা। তার অবস্থান ছিল শোষণের বিরুদ্ধে এবং শোষিতের পক্ষে। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশে অসংখ্য আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল এবং জনগণের মধ্যে এক নতুন আস্থা তৈরি হয়েছিল।  


ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমান আরো উল্লেখ করেন, “মাওলানা ভাসানী ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে উপমহাদেশের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের পক্ষে আপসহীন নেতৃত্ব দিয়েছেন।” তিনি তাঁর জীবদ্দশায় দেশপ্রেম, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় সর্বদা আপোসহীন ছিলেন এবং এই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পরবর্তী প্রজন্মের নেতা-কর্মীরা স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন।


তারেক রহমান বলেন, মাওলানা ভাসানী সবসময় জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়ে শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন, যা সেই সময়কার অত্যাচারী শাসক গোষ্ঠীর জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছিল। তার নেতৃত্ব ও আদর্শ এখনও প্রেরণার উৎস হিসেবে মানুষের মননে বেঁচে আছে। তিনি আরও বলেন, “আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ” বলে মাওলানা ভাসানীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।


মাওলানা ভাসানীর অবদান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র এবং কৃষক-শ্রমিকদের অধিকারের আন্দোলনে অনস্বীকার্য। তার পথপ্রদর্শন এবং নির্ভীক নেতৃত্ব আজও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতকে প্রভাবিত করে।