পিরোজপুরে স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ সর্বন তার সাবেক স্ত্রী মুক্তা হালদারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, বিচ্ছেদের কয়েক বছর পরেও মুক্তা হালদার তাকে স্বামী দাবি করে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের ও হুমকি দিয়ে তাঁকে হয়রানি করছেন।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এর পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি এবং পৌর শহরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ সর্বন জানান, তার দ্বিতীয় স্ত্রী মুক্তা হালদারের সাথে ২০২১ সালের ৫ মে গোপনে বিয়ে করার পরপরই পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। তার প্রথম স্ত্রী শুক্লা সর্বনও এই বিয়ে নিয়ে অভিযোগ জানানোর পর, পিরোজপুর মহিলা পরিষদের সহায়তায় তিনি মুক্তা হালদারের সাথে বিবাহবিচ্ছেদ করেন। সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে ২০২২ সালে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ডিভোর্স চূড়ান্ত করা হয় এবং এককালীন সাড়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তাকে পরিশোধ করা হয়।
ডিভোর্স চুক্তির পর মুক্তা হালদারকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছিল যে, ভবিষ্যতে তিনি দিলীপকে স্বামী হিসেবে দাবী করতে পারবেন না। তবে, দিলীপের অভিযোগ, বিচ্ছেদের পরেও মুক্তা তাকে স্বামী দাবি করে পুলিশে অভিযোগ দেন এবং বিভিন্ন মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেন।
দিলীপ সর্বন আরও জানান, মুক্তা হালদার বর্তমানে তাকে মোটা অংকের টাকা দাবি করে হুমকি-ধমকি প্রদান করছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছেন। তিনি এই বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য কামনা করেছেন।
এ ঘটনায় পিরোজপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে, তবে এখনও পর্যন্ত কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।