নওগাঁর আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা গ্রামে ব্রিজের অভাবে হাজার হাজার বিঘা জমির আমন ধান ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। খালের ওপর ব্রিজ না থাকায় প্রতি বছরই কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়। এবছরও ধান কাটার সময় কাছাকাছি মাঠের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র পথটি বন্ধ হয়ে গেছে।
এ বছর শাহাগোলা গ্রামের প্রায় এক শ কৃষক তাদের আবাদী জমিতে বাম্পার ফলন লাভ করেছেন। এ গ্রামসহ পাশের এলাকা জুড়ে প্রায় এক হাজার বিঘা জমিতে চাষ করা হয়েছে চিনি আতপ, জিরাশাইল, কাটারিভোগসহ বিভিন্ন জাতের আমন ধান। শস্যক্ষেত্র এখন সোনালি সজ্জায় ভরা হলেও মাঠ থেকে ধান সংগ্রহের জন্য কৃষকদের জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে খালের ওপর ব্রিজের অভাব।
শাহাগোলা গ্রাম ও খালের মাঝখানে কোনো সেতু না থাকায়, কৃষকরা ধান ক্ষেত থেকে গাড়ি বা ট্রাকের মাধ্যমে ফসল আনতে পারছেন না। ফলে, তাদের দ্বিগুণ পরিশ্রম এবং অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ে ধান তোলার কাজ করতে হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেক কৃষক জানান, “এ সমস্যা প্রতি বছরই হয়। জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি।” কৃষক আজাদ সরদার, আব্দুর রাজ্জাক এবং আব্দুর রহমান লিটন আরও বলেন, “ব্রিজের অভাবে ধান ঘরে তোলার কাজে শ্রমিকের খরচ অনেক বেড়ে গেছে, যা আমাদের আর্থিকভাবে দুর্বল করে দিচ্ছে।”
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমাদের প্রাথমিকভাবে ব্রিজগুলো সাধারণত দুই রাস্তার সংযোগের জন্য নির্মাণ করা হয়, তবে যদি গ্রামবাসী তাদের আবেদন দাখিল করেন, আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।”
কৃষকদের দাবি, শীঘ্রই তাদের এ সমস্যার সমাধান প্রয়োজন। ব্রিজ নির্মাণ হলে তাদের শ্রম এবং খরচ দুটোই কমবে, এবং কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল নিরাপদভাবে ঘরে তুলতে পারবেন। তাই জনগণের প্রত্যাশা, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করুক এবং তাদের কৃষি জীবনের উন্নতি নিশ্চিত করুক।
### -নাজমুল হক নাহিদ
আত্রাই, নওগাঁ
মোবাইল: ০১৭১৭-৭৯৭৯৩১
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।