ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ধূর পাচারকারীদের হামলায় সোহাগ ও শাহিন নামে দুই গ্রামবাসী গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে উপজেলার কাজীরবেড় গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে, যেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাদের জখম করা হয়।
আহতদের মধ্যে সোহাগ হোসেনকে শনিবার দুপুরে মুমুর্ষ অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় একটি খালে মাছ ধরছিলেন সোহাগ (৩০) ও শাহিন (২৮)। এসময় পাচারকারীরা তাদের সন্দেহ করে হামলা চালায়। জানা গেছে, শুক্রবার রাতে মহেশপুরের পলিয়ানপুর বিওপি’র সদস্যরা ভারতে ধূর পাচারের সময় চার পাচারকারীকে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার প্রতীক সরকার, জয় বিশ্বাস, সিলেটের শ্রীমঙ্গল উপজেলার মাসুমা আক্তার হ্যাপী এবং মাধরপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের হালিমা খাতুন ছিলেন।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, আটকের খবর পেয়ে পাচারকারীরা হামলার পরিকল্পনা করে। তারা ধারণা করে, সোহাগ ও শাহিনই তাদের আটকের বিষয়ে বিজিবিকে তথ্য দিয়েছেন। এরপর, বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর বাঘাডাঙ্গা গ্রামের মোবারক ও মানিকসহ ৩-৪ জন পাচারকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।
আহতদের উদ্ধার করতে নিকটস্থ পলিয়ানপুর বিওপির বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং তাদের মহেশপুর হাসপাতালে পাঠান। সোহাগের অবস্থার অবনতি হলে তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়, পরে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়।
এ বিষয়ে মহেশপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান কাজল বলেন, বিজিবি সদস্যরা গোপন সংবাদ পেয়ে কাজীরবেড় গ্রামের ব্রিজ এলাকা থেকে চারজন ধূর পাচারকারীকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও বিজিবি এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন এবং এলাকাবাসীকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য সজাগ দৃষ্টি রাখার কথা জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।