৩ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় কুড়িগ্রাম খলিলগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ট্রেন থামিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। তারা রংপুরগামী চিলমারী কমিউটার ট্রেনটি আটকে রেখে নানাবিধ দাবিতে প্রতিবাদ জানায়।
শিক্ষার্থীদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ কমিটির সদস্যরা এবং যাত্রীরা। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে চিলমারী কমিউটার ট্রেনটি জীর্ণ ও অকেজো অবস্থায় চলছে। ট্রেনের বগীতে সিট নেই এবং বাতি ও ফ্যানগুলো অচল হয়ে পড়েছে।
বক্তারা বলেন, "বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তাকে বারবার এসব সমস্যার কথা জানানো হয়েছে, কিন্তু তিনি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। তিনি ডিসি ও ইউএনও-এর ফোন রিসিভ করেন না এবং সাধারণ জনগণের সঙ্গে দেখা করেন না। আমরা তার এবং সহকারী পরিবহন কর্মকর্তার অপসারণ দাবি করছি এবং তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তদন্ত চাই।"
খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মিলন মিয়া বলেন, "বিভাগীয় রেল কর্মকর্তা বাস মালিক সমিতির কাছ থেকে ১৫% কমিশন নেন। তিনি কুড়িগ্রামের ট্রেনগুলোর সিডিউল বিপর্যয় রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। আমাদের বারবার বলার পরও তিনি আমাদের উপেক্ষা করেছেন।"
গণ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আরিফ বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে রাজারহাট-তিস্তা রুটের ১০ ফিট প্রস্থের কার্লভাটটি জোড়া-তালি দিয়ে চলছে। একাধিকবার সংস্কারের জন্য বলা হলেও তিনি উদ্যোগ নেননি। ঢাকাগামী ট্রেনটি রাজারহাটে স্টপেজ দিতে বললেও তিনি তা করেননি। আমাদের এই অবহেলিত জেলায় লোকাল ট্রেনটি দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে, তা চালু করতে হবে।"
বিক্ষোভের শেষে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন, যাতে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরা হয়েছে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন যে, তাদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচির ফলে রেল কর্তৃপক্ষ সমস্যাগুলোর সমাধান করবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।