পিরোজপুরের নেছারাবাদে দেনা-পাওনার চাপে বিধান চন্দ্র মিস্ত্রী (৪৫) নামে সোনালী সঞ্চয় ও ঋণদান এনজিও মালিকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে নেছারাবাদ থানা পুলিশ।
বুধবার বিকেলে তার বাড়ির পাশের একটি আম গাছের সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় পাওয়া পায়। বিধান মিস্ত্রী মাদ্রা গ্রামের সতিন্দ্র মিস্ত্রীর পুত্র। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠিয়েছে।
মাদ্রা গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সদানন্দ মন্ডল জানান, বিধান মিস্ত্রী আরামকাঠি সঞ্চয় সমিতিতে মাঠ কর্মী হিসেবে কাজ করা অবস্থায় নিজে একটি সমিতি পরিচালনা করতেন। তাছাড়াও একাধিক সদস্যদের সাথে তার দেনা পাওনা আছে।
তিনি আরো বলেন, তার কর্মস্থলের মালিক আরামকাঠি সমিতির রহমত মিয়ার সাথে লেনদেন নিয়ে বিরোধ দেখা দেয় এবং বিধানকে কিছু দিন আগে আটকে রেখে অপদস্ত করায় তিনি মানষিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে আরামকাটি সমবায় সমিতির ম্যানেজার শাকিল আহমেদ কালবেলাকে জানান, তার সাথে পূর্বে বেশি টাকার লেনদেন থাকলেও বর্তমানে ১ লক্ষ টাকার কাছাকাছি লেনদেন আছে। অন্যান্য টাকা পাওনা থাকলে লেজার সিট দেখে বলতে হবে।
এলাকাবাসীরা জানান, বিধানের নিজের সমিতিতে সদস্যদের জমা করা সঞ্চয়ের পাওনা টাকা ফেরত দেয়ার চাপে হয়তো আত্মহত্যা করতে পারে। এছাড়াও তার কাছে সমিতির গ্রাহকরা প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা পায় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
নেছারাবাদ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এইচ এম শাহিন বলেন, বিধানের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।