একসাথে চার পুত্র সন্তান জন্ম নেয়ায় আনন্দের জোয়ার বইছিল বৈশাখী রায় ও রাজন বিশ্বাস দম্পতির ঘরে। মাত্র ১২ ঘন্টার ব্যবধানে সেই আনন্দ বিষাদে পরিনত হলো। আনন্দের পরিবর্তে শোকের মাতম বইছে ওই পরিবারে। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একসাথে জন্ম নেয়া চার নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের অম্বিকাপুর শ্মশানে তাদের একসাথে সমাহিত করা হয়।
জানা যায়, চার নবজাতকের মা বৈশাখী রায় ফরিদপুর শহরের পশ্চিম আলীপুর এলাকার বাসিন্দা মদন রায়ের মেয়ে। তার স্বামী রাজন বিশ্বাসের বাড়ি রাজবাড়ী জেলার ভাজনডাঙ্গা এলাকায়। রাজন বিশ্বাস পেশায় একজন মুদি ব্যবসায়ী।
বৈশাখী রায়ের ছোট ভাই সঞ্জয় রায় জানান, শুক্রবার কালে অসুস্থ হয়ে পড়েন বৈশাখী। পরে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম পুত্র সন্তানের জন্ম দেন বৈশাখী। পরে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও তিন পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এবারই প্রথমবারের মতো বাবা-মা হন রাজন, বৈশাখী দম্পতি।
তিনি আরও জানান, নবজাতকদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত ৯টার দিকে চার নবজাতকে ঢাকার শিশু হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে একজনকে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অন্যত্র নেয়া হয় তিন নবজাতককে। রাত দুইটার দিকে এক জন মারা যায়, ভোররাত পর্যন্ত চার নবজাতকেরই মৃত্যু হয়।
চার নবজাতকের বাবা রাজন বিশ্বাস বলেন, সৃষ্টিকর্তা আমাদের চারটি সন্তান উপহার দিয়েও এক দিনের ব্যবধানে সব কেড়ে নিলেন। দুপুরে ফরিদপুর শহরের অম্বিকাপুর শ্মশানে চার নবজাতককে সমাহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. দিলরুবা জেবা বলেন, শিশুদের জন্মের পর মা বেশ অসুস্থ ছিলেন। গর্ভে চারটি শিশু ধারণ করার মত পর্যাপ্ত শক্তি তার ছিল না। গর্ভ ধারণের ২৬ সপ্তাহে বাচ্চাগুলো জন্ম নিয়েছিল। প্রতিটি বাচ্চার ওজন ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ছিল বলেও জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।