দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-২ ইসলামপুর আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদের নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার পাথর্শী,চরগোয়ালিনী ও বেলগাছা ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ন মোড় ও বাজারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মনোনীত প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদের ব্যানার ও পোষ্টার বিদ্যমান রয়েছে।
এ সংক্রান্ত গত ২৬ শে নভেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে নির্বাচনী আচরণ বিধি সম্পর্কে একটি গণবিজ্ঞাপ্তি জারি করা হয়। বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়েছে সম্ভাব্য সকল প্রার্থীরা ব্যানার,ফেস্টন, বিলবোর্ড, আলোকসজ্জা, দেয়াল লিখন, তোরণ, গেইট ও ঘেরসহ সকল ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা সামগ্রী নিজ দাঁয়িত্বে অপসারণের জন্য বলা হয়েছে।
সোমবার(৪ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রাথর্শী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মলমগঞ্জ বাজার রাস্তার দুই পাশে গাছের মধ্যে এখনও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদের ফেস্টুন বিদ্যমান রয়েছে। এসময় কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা আলাল সরকারসহ একাধিক ব্যক্তির সাথে। তারা জানান, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিতে যা বলা হয়েছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী তা মানছেন না। তার ব্যানার ফেস্টুন এখনও রাস্তার দুই পাশে গাছের মধ্যে টানানো আছে।
একইদিন মলমগঞ্জ টু গুঠাইল রোডেও এমন চিত্র লক্ষ করা গেছে। অপরদিকে গাইবান্ধা ইউনিয়নের চন্দনপুর বাজার থেকে পোড়ারচর বাজার হয়ে ডিগ্রীরচর বাজার পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে তার ফেস্টুন টানানো রয়েছে বলেও দেখা গেছে। চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের ডিগ্রীরচর বোর্ড বাজার এলাকায় দেখা যায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়েও তার ফেস্টুন এখনও বিদ্যমান রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, প্রশাসন তো আর পদক্ষেপ নিচ্ছেননা। গত ৩০ তারিখে মনোনয়ন পত্র দাখিল করার সময়ও তিনি ও তার সমর্থকরা জাতীয় পার্টির এক সদস্যর স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটিয়েছে। অনেক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে সংবাদ প্রচার হলেও প্রশাসনিক ভাবে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আমরা আশা করি প্রশাসন তার বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন সম্পর্কে কথা হয় জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদের সাথে। তিনি বলেন আমাকে আচরণ বিধি সম্পর্কে অফিসিয়ালভাবে এখনও জানানো হয়নি। অফিসিয়াল ভাবে যদি জানানো হতো তবে অবশ্যই অপসারণ করতাম।
এব্যাপারে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা মাইকিং করেছি। কোথাও যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তা হলে দ্রুত অপসারণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।