ভোলার তজুমদ্দিনে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ২৩শে জানুয়ারী ২০২২ ০৭:৩৬ অপরাহ্ন
ভোলার তজুমদ্দিনে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

ভোলার তজুমদ্দিনে এবছর সরিষার ব্যাপক চাষাবাদ হয়েছে। চারদিকে সরিষার ক্ষেতের ফুল বাতাসে দুলছে। যার কারণে প্রাকৃতিক এক সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়েছে সরিষার মাঠে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশাবাদী চাষিরা।


উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, তজুমদ্দিন উপজেলায় চাঁচড়া, শম্ভুপুর, চাঁদপুর, মলংচড়া, সোনাপুর মোট ৫টি ইউনিয়নে এবছর ১১শ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদের লক্ষমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে এবং সার, বীজ ও কীটনাশকের সংকট না থাকলেও শেষ পর্যন্ত সরিষার চাষাবাদ হয়েছে ৯শ হেক্টর জমিতে। ফসল উৎপাদনের লক্ষ মাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার মেঃ টন। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। উন্নত জাতের বীজ হিসেবে এ অঞ্চলের চাষীরা বারী, বিএডিসি সহ কয়েক প্রজাতির সরিষার চাষাবাদ করে।


শম্ভুপুর ইউনিয়নের কৃষক ঝান্টু মিয়া বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগে কোন ক্ষতি না হলে এবার সরিষার ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবছর তিনি সরিষার আবাদ করে ব্যাপক লাভবান হয়। এবছর তিনি এক একর জমিতে বারী জাতের সরিষার চাষাবাদ করেছেন।


চাঁদপুর ইউনিয়নের সরিষা চাষী মোঃ ফিরোজ বলেন, অল্প খরছে এবং কম পরিশ্রমে চরিষা চাষ করে ভালো লাভবান হওয়া যায়। আমি প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে সরিষার চাষ করেছি। সরিষার গাছ ভালো হয়েছে। গাছে প্রচুর পরিমান ফুল ধরায় আশানুরূপ ফলন পাওয়ার আশাবাদী। আবহাওয়া ভালো থাকলে কিছুদিন পরেই ফলন ঘরে তুলতে পারবো।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব লাল সরকার বলেন, তৈল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সরকারের ব্যাপক প্রচার প্রচারণা ও প্রনোদনা কর্মসূচীর আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বীজ সরবরাহ হয়।এ ছাড়ার একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সরিষার প্রদর্শনী বাস্তাবায়নের ফলে সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি কৃষি অফিস সবসময় মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সহযোগিতা, পরামর্শ এবং উদ্ধত্ত করার কারনে এবছর সরিষার বম্পার ফলনের আশাবাদী।আবহাওয়া অনূকেূলে থাকলে কৃষকেরা হাসি মুখে ফসল ঘরে তুলতে পারবে এবং লাভবান হবে।