কুন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
সচ্চিদানন্দদেসদয়, আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষিরা
প্রকাশিত: সোমবার ২২শে নভেম্বর ২০২১ ০৩:০০ অপরাহ্ন
কুন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের ২০নং কুন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মূর্শিদা খাতুনকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে । রবিবার ১১টায় বিদ্যালয়ের সামনে এলেকাবাসী এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন। মানববন্ধনে স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও জনপ্রতিনিধি সহ এলাকার নারী-পুরুষেরা অংশ নেন ।


এ সময় তারা বলেন প্রধান শিক্ষিকা মূর্শিদা খাতুন ক্ষমতার অপব্যবহার স্বেচ্ছাচারিতা, সরকারি সম্পত্তি লুট, এসএমসি কমিটি গঠনের নামে পকেট কমিটি গঠন, , ষড়যন্ত্র ও দুর্নীতি, সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ, সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, এবং তার লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে তাদের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।তারা আরো বলেন একজন শিক্ষক হলো দেশ গড়ার কারিগর সেই শিক্ষক যদি দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতায় করে সেখানে সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে । তারা অবিলম্বে দুর্নীতিবাজ শিক্ষকের অপসারণ দাবী করেন ।


কুন্দুড়িয়া স্কুলের সভাপতি উত্তম কুমার সরকার জানান, আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মূর্শিদা খাতুন বিভিন্ন ভাবে আমাদের সাথে প্রতারণা করছে, এমনকি সে এসএমসি কমিটি মেনে নিতে রাজি নয়। সেই স্কুলে একনায়কতন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে । সে কোর্টের রায় ও মানে না।


স্থানীয় ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান জানান,আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার অনিয়ম এবং দুর্নীতিতে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। আমাদের স্কুলের নতুন যে কমিটি হয়েছে সে কমিটি তিনি মানেন না। এই কমিটি নিয়ে তিনি সাতক্ষীরাসহ বিভন্ন আদালতে মামলা করেছেন । সে একজন দুর্নীতিবাজ। কিছুদিন আগে সেই স্কুলের ৮৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছিলো, পরে আমরা সেই টাকা উদ্ধার করেছি। এ ধরনের দুর্নীতিবাজ স্বেচ্ছাচারিতা শিক্ষক আমাদের স্কুলে থাকেলে এই স্কুলটা ধ্বংস হয়ে যাবে । আমরা এলেকাবসী তার অপসারণে দাবী জানাচ্ছি।


প্রধান শিক্ষিকা মূর্শিদা খাতুন জানান ০১/০৪/২০২১ ডিস্ট্রিক্ট জজ আদালত রায় আসে স্কুলের এসএমসি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। টিও স্যারকে নির্দেশ দেয়া হয় নতুন কমিটি গঠন করার জন্য। করোনার কারণে কোর্ট বন্ধ থাকায় আমরা রায়ের কপি তুলতে পারিনি। পরে এটিও আবু সেলিম বাদী হয়ে কোর্টে রিট করেন। বিবাদীপক্ষ নোটিশ চেপে দেয়। আমরা কোন নোটিশ পাইনি। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি না থাকার কারণে আমি তাদের মিটিং করতে নিষেধ করি। তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। এ ব্যাপারে টিও স্যারও আমাকে কোন নির্দেশনা দেননি।